কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

সব জায়গায় সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে

www.ajkerpatrika.com ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ প্রকাশিত: ০৭ মে ২০২৩, ১৬:৫২

ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর। বর্তমানে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। ক্রিটিক্যাল ইস্যুজ ইন ডেভেলপমেন্ট ইকোনমিকস, কালেকটেড পেপারস অন ইকোনমিক ইস্যুজসহ অর্থনীতির ওপর রচিত তাঁর কয়েকটি গ্রন্থ রয়েছে। ‘গভর্নরের স্মৃতিকথা’ নামে তাঁর একটি আত্মস্মৃতিকথামূলক গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটে বাংলাদেশে এর প্রভাব, ব্যাংকিং খাতে অরাজকতা, খেলাপি ঋণ এবং রাজস্ব আদায়ের ঘাটতি বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি।


দেশের অর্থনীতি বৈদেশিক মুদ্রার সংকটে ভুগছে। বাড়ছে খেলাপি ঋণ। খেলাপি ঋণ আদায়ও তেমন হচ্ছে না। এ অবস্থা সৃষ্টি হওয়ার কারণ কী? 


সালেহউদ্দিন আহমেদ: এর মূল কারণ হলো, প্রথমত, প্রবাসী আয় তথা রেমিট্যান্স আসা কমে গেছে। আমাদের এমনিতেই রপ্তানির আয়ের পরিমাণ কম। কোভিড পরিস্থিতির পরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আমদানি-রপ্তানি বৃদ্ধি পায়নি। সেই সঙ্গে আমদানি খরচ বেড়ে গেছে। আর একটা বিষয় হলো, বিদেশে অর্থ পাচার অনেক বেড়ে গেছে। বিভিন্ন মাধ্যমে দেশের অর্থ বিদেশে চলে যাচ্ছে।


রাজস্ব আদায়ের ঘাটতির কী কারণ থাকতে পারে?


সালেহউদ্দিন আহমেদ: রাজস্ব আদায়ের ঘাটতির কারণ আমার কাছে মনে হয়, এনবিআর এবং সরকারের ব্যর্থতা আছে। তারা যথার্থভাবে রাজস্ব আদায় করে না। শুধু তারা কথাই বলে যাচ্ছে। প্রথমত, এনবিআর নতুন করে রাজস্ব আদায়যোগ্য ব্যক্তিদের তালিকাভুক্ত করছে না। এনবিআর রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় দায়িত্বশীল ও সন্তোষজনক নয়। নতুন নতুন সেক্টর থেকে রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে ডেটাবেইস আপডেট করার ঘাটতি আছে। এ কারণে নানা ধরনের সন্দেহের সৃষ্টি হয়। আর একটা ব্যাপার হলো, ব্যাংকে যেসব হিসাবের ক্ষেত্রে ট্যাক্স যুক্ত করা হয়েছে, সেখান থেকে সহজে এনবিআর রাজস্ব আদায় করতে পারে না। আর প্রত্যক্ষ বা যেটাকে ইনকাম ট্যাক্স বলা হয়, যেটা থেকে বেশি টাকা আদায় হওয়ার কথা, সেই সবও সঠিকভাবে আদায় করা হয় না। সব মিলিয়ে অদক্ষতা, রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্র বৃদ্ধি না করার বিষয়গুলো আছে। পাশাপাশি ঢাকার বাইরে অনেক বড় বড় ব্যবসায়ী আছেন, তাঁদের ট্যাক্সের আওতায় আনা হচ্ছে না। ঢাকার মধ্যেও বহু লোক এবং অনেক বড় বড় ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি ট্যাক্সের আওতায় নেই। এসব কিন্তু কোনো কঠিন কাজ না। শুধু একটু পরিকল্পনা ও জরিপ করে ব্যক্তিদের খুঁজে বের করা দরকার। বাংলাদেশে এখনো রাজস্ব আদায়ের হার হচ্ছে ৭ থেকে ৮ শতাংশ আর নেপালের রাজস্ব আদায়ের হার হচ্ছে ২২ শতাংশ। আইএমএফ শর্ত দেওয়ার পরেও রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ বাড়ছে না। 


সরকারও তো অনেক ক্ষেত্রে তাদের স্বার্থে কিছু ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিকে রাজস্ব থেকে মুক্তি দিচ্ছে? 


সালেহউদ্দিন আহমেদ: ব্যক্তির যে ইনকাম ট্যাক্স তাঁরা তো সেটা দেন, আবার অনেক ব্যবসায়ীও তাঁদের ট্যাক্স দিয়ে থাকেন। নতুন যে অনেক ব্যবসায়ী আছেন, তাঁদের তালিকাভুক্ত করা হচ্ছে না। আবার অনেক বড় বড় ব্যবসায়ীর বছর বছর ধরে আয় বাড়ছে, কিন্তু তাঁদের তো ট্যাক্সের পরিমাণ বাড়ছে না। এটা তো একটা বড় সমস্যা। নিয়ম হলো, আয় যত বাড়বে, তাঁর ট্যাক্সও সেই পরিমাণে বাড়বে। কিন্তু অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে তা যথার্থভাবে আদায় করা হয় না। আর সরকার কিছু ক্ষেত্রে বড় বড় শিল্পপতির রাজস্ব আদায় করছে না মূলত দলীয় স্বার্থে। আসলে এটা করা উচিত নয়। সবার আগে দেশের স্বার্থ দেখাটা উচিত। 


কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ ক্ষেত্রে কী ধরনের উদ্যোগ নিতে পারে? 


সালেহউদ্দিন আহমেদ: কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাজ হলো মনিটরিং সিস্টেমকে উন্নত করা। এ ক্ষেত্রে আবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সীমাবদ্ধতা আছে। তারা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে ফিন্যান্স বিভাগের মাধ্যমে। অন্যান্য ব্যাংকের এমডি, পরিচালক নিয়োগ থেকে অনেক কাজ তারা সরাসরি করতে পারে না। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে দুই ধরনের ব্যক্তির নিয়ন্ত্রণ থাকে। একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানকে যদি দুদিক থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়, তাহলে একজন শুনবেন সরকারের কথা আর একজন শুনবেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কথা।


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও