কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

রাজনীতির প্রতি অনাস্থা বাড়ল কেন?

সমকাল সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী প্রকাশিত: ০৭ মে ২০২৩, ০২:০১

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কিছুদিন আগে বলেছেন যে, ভালো লোকেরা এখন আর রাজনীতিতে আসতে চায় না। কথাটা তিনি না জেনে না বুঝে বলেননি; দুঃখের সঙ্গেই বলেছেন। তাঁর মতে, রাজনীতি নষ্ট হয়ে গেছে। নষ্ট রাজনীতি নষ্ট মানুষের জন্ম দিচ্ছে। খুবই সত্য কথা। শুধু বাংলাদেশ বলে নয়, পৃথিবীজুড়েই ওই ঘটনা ঘটছে; কম আর বেশি।


যে কোনো রাষ্ট্রের জন্য অর্থনীতিই প্রধান অবলম্বন; কিন্তু অর্থনীতির ওপর রাজনীতির যে হস্তক্ষেপ ঘটে না, তা তো নয়। রাষ্ট্র চলে রাজনীতির ধারাতে এবং অর্থনীতি যে রাজনীতির শাসনকে অবজ্ঞা করবে তা পারে না। আসলে রাজনীতি ও অর্থনীতি অঙ্গাঙ্গী জড়িত, আলাদা করা কঠিন। তা বাংলাদেশের রাজনীতিটা ‘নষ্ট’ হলো কীভাবে? কার দোষে? ভাবনা-চিন্তা না করেও বলা যাবে, নষ্ট হয়েছে ব্যবস্থার দোষে। ব্যবস্থাটাই এমন যে, নানান কিসিমের আদর্শের কথা শোনা যায় বটে; কিন্তু নিয়ন্ত্রণ রয়ে যায় ওই টাকার হাতেই। বাংলাদেশের সংসদ সদস্য অধিকাংশই যে হয় নিজেরা ব্যবসায়ী, নয় তো ব্যবসার সঙ্গে জড়িত– এটি ঘটনা বটে, তবে দুর্ঘটনা নয়।


নষ্ট রাজনীতি যে ভয়াবহ কাজটা করছে সেটা হলো, জনসাধারণের মধ্যে শুধু রাজনীতিক নন, রাজনীতির প্রতিই অনাস্থা বাড়িয়ে দিচ্ছে। এর প্রমাণ নানাভাবে পাওয়া যাবে, পাওয়া গেল কিছুদিন আগে বিএনপির ছেড়ে দেওয়া সংসদীয় আসনগুলোর উপনির্বাচনেও। বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, শতকরা পাঁচজন ভোটার ভোট দিয়েছেন। তারা অতিরঞ্জন করেছে। রাজনীতিকরা সেটা করে থাকেন এবং ওই করাটাই অন্যতম কারণ, যে জন্য জনসাধারণ তাদের ওপর আস্থা রাখতে উৎসাহ পায় না। তবে উপনির্বাচনে ভোটাররা যে মোটেই আগ্রহ প্রকাশ করেননি, এটা বাস্তবিক সত্য। দৈনিক পত্রিকার শিরোনামগুলোর দিকে তাকালেও এখন এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়।


নিয়ম হচ্ছে, নির্বাচন উৎসবের মতো। যথার্থ নির্বাচন উৎসবই আসলে। তাতে উপস্থিতি, উৎসাহ, উত্তেজনা, কৌতূহল– সবকিছুই উপচে পড়ে। কিন্তু নির্বাচনের ফলাফল ভোটাররা যদি আগেই জেনে যায়, তাহলে তারা সাড়া দেবে কেন? তদুপরি যদি শঙ্কা থাকে সংঘর্ষের এবং অনিয়মের, তাহলে খরা দেখাটাই তো স্বাভাবিক।


এই রাজনীতি বিমুখতা মোটেই সুসংবাদ নয়। দেশের পাঁচটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা হয়েছে, সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আসছে। দুই বড় দল পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দিচ্ছে, আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ আপাতত কথার মধ্যে সীমিত; কিন্তু মানুষ ভরসা পাচ্ছে না, তারা আশঙ্কা করছে সংঘর্ষের। ফলে নির্বাচনে তাদের আস্থা কমারই কথা। নির্বাচনে আস্থা না থাকলে লোকজন ভোটকেন্দ্রে যাবে না। সাম্প্রতিক বিভিন্ন নির্বাচনে তো বটেই; অতি সম্প্রতি চট্টগ্রামের একটি আসনে উপনির্বাচনে সেটির প্রতিফলন ঘটেছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও