নাটোরে গুলি ও সংঘাতের দায় কার

প্রথম আলো সম্পাদকীয় প্রকাশিত: ০৪ এপ্রিল ২০২৩, ০৮:৩৩

বিএনপি ১ এপ্রিল সারা দেশে দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ ও নির্দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচনের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। দু-একটি স্থানে পুলিশের বাধা ছাড়া মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবে এ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।


কিন্তু বিএনপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে নাটোরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা যে কাণ্ড করেছেন, তা কেবল শান্তিভঙ্গের কারণ হয়নি, গোলাগুলির ঘটনাও ঘটেছে। প্রথম আলোর ছবিতে দেখা যায়, নাটোর বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম প্রতিপক্ষের প্রতি তাঁর লাইসেন্স করা পিস্তল দিয়ে গুলি ছুড়ছেন। সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ভাইরাল হয়ে যায়।


বিএনপির নেতাদের অভিযোগ, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হামলা থেকে রক্ষা পেতে তিনি গুলি ছুড়েছেন। বিএনপির নেতা কি তবে প্রস্তুতি নিয়েই কর্মসূচি পালন করতে এসেছিলেন? আবার আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরাই–বা কেন বিএনপির সমাবেশকে বাধাগ্রস্ত করতে সদলবলে ঝাঁপিয়ে পড়লেন?


গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সব রাজনৈতিক দলই নিজ নিজ কর্মসূচি ও বক্তব্য নিয়ে জনগণের কাছে যাবে, এটাই রীতি। এ ক্ষেত্রে এক দলের কর্মসূচি বাধাগ্রস্ত করতে অন্য দলের পাল্টা কর্মসূচি কেবল অনাকাঙ্ক্ষিত নয়, নিন্দনীয়ও। রোজার দিনে জনগণকে কষ্ট দিয়ে বিএনপির রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের কঠোর সমালোচনা করেছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব। আবার তাদের দলের নেতা-কর্মীরা বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা দিতে পাল্টা কর্মসূচি নিচ্ছেন।


নাটোর জেলা বিএনপি উপশহরের মাঠে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করলে আওয়ামী লীগ সেখানে কর্মসূচি করতে দেবে না বলে ঘোষণা দেয়। শনিবার দুপুরে নাটোর শহরের আলাইপুরে কাছাকাছি জায়গায় উভয় দল সমাবেশ শুরু করলে দুই দলের নেতা-কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। পুলিশ সড়কে মানবপ্রাচীর তৈরি করেও পরিস্থিতি সামাল দিতে পারেনি। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৩৫ জন নেতা-কর্মী আহত হন। কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।


এ ঘটনার জেরে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলামসহ ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে ১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এর আগেও বিএনপি কর্মসূচি নিলেই আওয়ামী লীগকেও একই দিন পাল্টা কর্মসূচি পালন করতে দেখা গেছে। স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন আসে, নাটোরে বিএনপির কর্মসূচিকে বাধাগ্রস্ত করতে কেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা রাস্তায় নামলেন? একই সময় একই স্থানে কেন কর্মসূচি নিলেন তঁারা? আওয়ামী লীগ যদি এটাকে কৌশল হিসেবে নিয়ে থাকে, সেটা তাদের রাজনৈতিক দুর্বলতারই প্রকাশ।


নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাছিম আহম্মেদ বলেন, ‘মামলার তদন্তের স্বার্থে শহিদুল ইসলামের পিস্তলটি জব্দ করা হয়েছে। তিনি কী পরিস্থিতিতে, কার উদ্দেশ্যে কতটি গুলি করেছেন, তার তদন্ত হওয়া জরুরি।’ কিন্তু বিএনপির সমাবেশে হামলার জন্য কোনো আওয়ামী লীগ নেতার নামে মামলা কিংবা কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার খবর জানা যায়নি।





সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও