কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর উন্নয়নে অগ্রাধিকার দিন

প্রথম আলো সম্পাদকীয় প্রকাশিত: ০৪ এপ্রিল ২০২৩, ০৭:৩৩

সমতলে বসবাসকারী ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীগুলোর আর্থসামাজিক ও জীবনমান উন্নয়নে নেওয়া সাড়ে তিন বছরের একটি প্রকল্পের মাত্র তিন মাস সময় থাকলেও অর্ধেকের বেশি কাজ এখনো বাকি পড়ে আছে। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর দারিদ্র্য বিমোচনে এটি নিঃসন্দেহে কার্যকর একটি প্রকল্প। কিন্তু সময়মতো বাস্তবায়ন করতে না পারায় যে উদ্দেশ্য থেকে প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে, তার সুফলবঞ্চিত হচ্ছে ঈপ্সিত জনগোষ্ঠী।


সাঁওতাল, ওঁরাও, খাসি, গারো, মাহাতো, পাহানসহ সমতলে আরও কয়েকটি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী বসবাস করে। জীবিকার জন্য তারা কৃষির ওপর নির্ভরশীল হলেও দুই-তৃতীয়াংশেরই নিজেদের ভূমি নেই। এ কারণে এসব জাতিগোষ্ঠীর ৮০ শতাংশ মানুষই দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে। এসব জনগোষ্ঠীর দারিদ্র্য বিমোচনে ২০১৯ সালের জুলাই মাসে শুরু হওয়া একটি প্রকল্পে প্রতিটি পরিবারকে গরু, ছাগল, ভেড়া, হাঁস, মুরগি দেওয়ার উদ্যোগ নেয় সরকার। ‘সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন’ নামের একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।


প্রথম আলোর খবর জানাচ্ছে, ছয় ধাপের প্রকল্পটি এ বছরের জুন মাসে শেষ হয়ে যাচ্ছে। এর আওতায় সমতলের ২৯টি জেলার ১ লাখ ৩৭ হাজার ৯৭৬টি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী পরিবারকে প্রাণিসম্পদ দেওয়ার কথা রয়েছে। এ জন্য ব্যয় করা হচ্ছে ৩৫২ কোটি টাকা। প্রকল্পটি শেষ হতে আর তিন মাস বাকি থাকলেও ছয় ধাপের মধ্যে কেবল প্রথম ধাপের ৬ হাজার ৯১০টি পরিবারকে একটি করে বকনা গরু দেওয়ার কার্যক্রম শেষ হয়েছে। আর দ্বিতীয় ধাপে ২৬ হাজার ৩৩৯টি পরিবারকে দুটি করে ভেড়া দেওয়া হয়েছে।


প্রকল্প পরিচালক জানিয়েছেন, এটি অনুমোদনের পরপরই করোনা মহামারি শুরু হওয়ায় কাঙ্ক্ষিত বরাদ্দ না পাওয়ায় এটি সময়মতো শেষ করা যাচ্ছে না। কিন্তু ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী পরিবারগুলোর প্রকল্প থেকে পাওয়া গবাদিপশু পালন করে যে জীবনমানের উন্নয়ন ঘটছে, তা প্রথম আলোর প্রতিবেদনে স্পষ্ট করে উঠে এসেছে।


সমতলের ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষ সবচেয়ে পিছিয়ে থাকলেও সরকারি সুযোগ-সুবিধা তারা খুব কম পায়। তাদের জন্য একটা প্রকল্প নেওয়া হলেও সেটা যথাসময়ে বাস্তবায়ন করতে না পারাটা খুবই দুঃখজনক।


তৃতীয় পক্ষের করা জরিপ থেকে দেখা যাচ্ছে, প্রকল্পের আওতায় ১ লাখ ৩৮ হাজার পরিবার এলেও সমতলে আরও প্রায় ৪৩ হাজার পরিবার এর বাইরে রয়ে গেছে। আবার কোন পরিবার কোন ধরনের পশু পালনে অভ্যস্ত, সেটাও বিবেচনা করা হয়নি।


আমরা মনে করি, সমতলের ক্ষুদ্র জাতিসত্তাগুলোর জীবনমান উন্নয়নে নেওয়া প্রকল্পটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করা জরুরি। বাদ পড়া পরিবারগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করে প্রয়োজনে আরেকটি প্রকল্প নেওয়া উচিত। পিছিয়ে পড়া ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও