কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

কোনো দেশই বিশ্বব্যবস্থার একমাত্র নির্ধারক নয়

সমকাল শি জিনপিং প্রকাশিত: ২১ মার্চ ২০২৩, ০০:৩১

দশ বছর আগে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর আমার প্রথম বিদেশ সফর ছিল রাশিয়ায়। গত এক দশকে আরও আটবার দেশটিতে গিয়েছি। প্রতিবারই আমি উচ্চ প্রত্যাশা নিয়ে গিয়েছি এবং প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে মিলে চীন-রাশিয়া সম্পর্কের  একেকটি নতুন অধ্যায় উন্মোচন করেছি।


চীন ও রাশিয়া পরস্পর বৃহত্তম প্রতিবেশী এবং সমন্বিত কৌশলগত অংশীদার। বিশ্ব পরিসরে আমরা উভয়েই বৃহত্তর দেশ এবং জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য। উভয় দেশই স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি সমুন্নত রাখি এবং পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্ককে কূটনীতিতে অগ্রাধিকার দিই। বৃহত্তর দেশ হিসেবে দায়িত্ব পালনে আন্তর্জাতিক মঞ্চে আমাদের রয়েছে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়।


জতিসংঘকেন্দ্রিক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা, আন্তর্জাতিক আইনের আওতাধীন আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা এবং জাতিসংঘ সনদের নীতি ও উদ্দেশ্যের ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মৌলিক নিয়মগুলো সুরক্ষার ব্যাপারে আমরা দুই দেশই দৃঢ় অঙ্গীকারবদ্ধ। জাতিসংঘ, সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা, ব্রিকস, জি২০সহ অন্যান্য বহুপক্ষীয় পরিসরে আমরা ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ ও সমন্বয় রক্ষা করি। একটি বহুমেরু বিশ্ব এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বৃহত্তর গণতন্ত্রের জন্য একত্রে কাজ করি।


গত ৭০ বা তারও বেশি বছর ধরে চীন-রাশিয়া সম্পর্কের অনন্যসাধারণ যাত্রার দিকে তাকিয়ে আমরা দৃঢ়ভাবে মনে করি, খুব সহজেই আজকের অবস্থানে আসা সম্ভব হয়নি। আমাদের বন্ধুত্ব ধারাবাহিকভাবে গভীরতর হচ্ছে এবং এটা সব পক্ষকে প্রতিপালন করে যেতে হবে। বস্তুত চীন ও রাশিয়া রাষ্ট্রে রাষ্ট্রে মিথস্ক্রিয়ার সঠিক পথটিই খুঁজে পেয়েছে। পরিবর্তনশীল আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিতে সম্পর্কের পরীক্ষায় পাস করতে হলে ইতিহাস ও বাস্তবতা থেকে জন্ম নেওয়া এই শিক্ষা মনে রাখা জরুরি।


বিশ্ব বর্তমানে এমন গভীর পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, যা গত এক শতাব্দীতে দেখা যায়নি। শান্তি, উন্নয়ন ও উইন-উইন সহযোগিতার ঐতিহাসিক এই প্রবণতা অপ্রতিরোধ্য। বহুমেরু বিশ্ব, অর্থনৈতিক বিশ্বায়ন ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বৃহত্তর গণতান্ত্রিকতার বিদ্যমান এই প্রবণতা অপরিবর্তনীয়। অন্যদিকে বিশ্বকে মুখোমুখি হতে হচ্ছে জটিল ও পরস্পরবিরোধী প্রথাগত ও অপ্রথাগত নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ, ক্ষতিকারক আধিপত্যবাদী কর্মকাণ্ড, চেপে ধরা ও খোঁচাখুঁচি এবং দীর্ঘ ও যন্ত্রণাদায়ক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া। এই সংকট থেকে বের হওয়ার একটি সহযোগিতামূলক পথ খুঁজে পেতে বিশ্বজুড়েই বিভিন্ন দেশ হয়রান ও আগ্রহী।


২০১৩ সালের মার্চ মাসে মস্কো স্টেট ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনসে এক বক্তব্যে আমি বলেছিলাম, বিভিন্ন দেশ এখন পরস্পরের সঙ্গে এমনভাবে যুক্ত ও নির্ভরশীল, যা আগে কখনও দেখা যায়নি। আর মানব জাতি যেহেতু এখন বাস করছে এক বৈশ্বিক গ্রামে, সেহেতু ক্রমবর্ধমানভাবে এমন এক অভিন্ন ভবিষ্যৎনির্ভর সম্প্রদায়ে পরিণত হচ্ছে, যেখানে প্রত্যেকের স্বার্থ ঘনিষ্ঠভাবে পরস্পরের ওপর নির্ভরশীল।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও