জি–২০ সম্মেলন ও আশা-আশঙ্কার ভূ-রাজনীতি

ঢাকা পোষ্ট ড. আতিউর রহমান প্রকাশিত: ১৬ মার্চ ২০২৩, ১৬:৩০

অগ্রসর অর্থনীতি আর উদীয়মান অর্থনীতির ১৯টি দেশ এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সমন্বয়ে গঠিত অনানুষ্ঠানিক ফোরামের নাম জি–২০। এর ১৮তম শীর্ষ সম্মেলন হবে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে। নয়া দিল্লিতে।


করোনা মহামারি, জলবায়ু পরিবর্তন, আর ইউরোপে চলমান যুদ্ধের কারণে এবারের সম্মেলন স্বভাবতই বিশেষ আগ্রহ জাগাচ্ছে। তার ওপর এবার সম্মেলনের সভাপতিত্ব করছে প্রতিবেশী দেশ ভারত এবং জি–২০-এর সদস্য না হলেও বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিশেষ আমন্ত্রণে এই সম্মেলনে অংশ নেবেন বলে জানা গেছে। সব মিলিয়ে এবারের জি–২০ সম্মেলন আগামী দিনগুলোর ভূ-রাজনৈতিক পথনকশা নির্ধারণে অত্যন্ত গুরুত্ববহ হবে বলেই ধরে নিচ্ছেন সবাই।


নিঃসন্দেহে বিশ্ব অর্থনৈতিক-কূটনীতির জন্য বর্তমান সময় ভীষণ বৈরী। শীর্ষ সম্মেলনের আগেই জি–২০-এর প্রস্তুতিমূলক সভা-মতবিনিময়গুলোয় তার প্রতিফলন দেখতে পাচ্ছি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অগ্রসর, উন্নয়নশীল আর পিছিয়ে থাকা সব অর্থনীতি ক্ষতির মুখে পড়লেও ভারতে সম্প্রতি শেষ হওয়া জি–২০ অর্থমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক থেকে এই বিষয়ে মতৈক্যে পৌঁছানোর খবর পাওয়া যায়নি।


সেপ্টেম্বর নাগাদ এই অনৈক্যের পরিস্থিতি খুব বড় রূপ নেয় কি না তা নিয়ে আশঙ্কা করছেন অনেক বিশ্লেষক। তবে এক্ষেত্রে মনে রাখা দরকার এই ধরনের বৈশ্বিক সংকটকালে সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য নীতি-প্রস্তাবনা হাজির করার জন্যই কিন্তু জি–২০-এর যাত্রা শুরু হয়েছিল।


বিশেষ করে ২০০৮-০৯-এর বিশ্ব আর্থিক সংকট মোকাবিলায় জি-২০ সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। তাই এবারেও প্রাথমিক পর্যায়ে প্রত্যাশিত ফলাফল না পাওয়া নিয়ে হতাশ না হয়ে, নতুন নতুন কৌশল নিয়ে এগোনোর পরিকল্পনা করাই সঠিক হবে।


এই প্রসঙ্গে ২০১৮ সালে কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং জি–২০-এর মূল প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম—পল মার্টিনের একটি বক্তব্য মনে করা যায়। তিনি বলেছিলেন, ‘... জি–২০-এর লক্ষ্য হলো সকলের জন্য বিশ্বায়নের সুফল নিশ্চিত করা। ... আর বিশ্বের রাষ্ট্রনায়ক আর মন্ত্রীদের যখন একটি বদ্ধ ঘরে একান্তে আলোচনার সুযোগ করে দেওয়া হয় তাতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার যে অমিত ক্ষমতা তৈরি হয় সেই বিষয়ও আমাদের মনে রাখতে হবে।’


আসলেই তাই। তাই জি–২০ থেকে কাঙ্ক্ষিত সুফল আসবে না—এমন আশঙ্কার পাশাপাশি বিশ্বের নেতারা একত্রে বসে একটি সমাধানের পথ খুঁজে বের করবেন এমন আশার জায়গাও আমি দেখি। আলাপ আলোচনার মধ্য দিয়েই বিশ্ব সংকট সমাধানের পথ খুঁজে পাওয়া যাবে এমনটি আশা করা নিশ্চয় অন্যায় হবে না।


আগেই বলেছি আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও এবার বিশেষ আমন্ত্রণে জি–২০ শীর্ষ সম্মেলনে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে দিল্লিতে ‘ইনগোরাল লিডারস সেশন’-এ ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি বলেছেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কালে বিশ্ব অর্থনীতির অস্থিরতা এবং করোনা মহামারির অভিজ্ঞতার প্রেক্ষাপটে একটি সুবিচারভিত্তিক ও ন্যায়সঙ্গত অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় সকলে একযোগে কাজ করার এখনই সময়।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও