পায়ের জন্য কোন জামা
বাড়ির কাজ, অফিসের কাজ, বাইরে দৌড়াদৌড়ি, আয়েশি ঘোরাঘুরি—সারা দিনে কত কাজ। আর এসব কাজের স্থান ও সময় অনুযায়ী বদলে যায় পরিধেয়। পোশাকের ওপরের অংশ তো বটেই, নিচের অংশের জন্যও এ কথা প্রযোজ্য। সোজা কাটের প্যান্ট বা পায়জামা করপোরেট সংস্কৃতিতে মানানসই। আবার সারা দিনের আরামের জন্য অনেকের পছন্দ পালাজ্জো। তবে সেটা আবার খুব ঢোলা কাটের না হলেই ভালো।
দাওয়াতের জন্য কেউ পরছেন কয়েক স্তরের সারারা বা স্কার্ট–জাতীয় পালাজ্জো। প্যান্ট কাট পায়জামা, পেনসিল কাট পায়জামা, ধুতি পায়জামার পাশাপাশি চলতি ধারায় বেল বটম পায়জামা, হারেম প্যান্ট বা ঢোল কাটের পায়জামাও রয়েছে।
মানানসই মোটিফে
জ্যামিতিক, ফুল ও ঐতিহ্যবাহী মোটিফের পায়জামা এনেছে লা রিভ। একরঙা আর চেক নকশার ফরমাল প্যান্টও রয়েছে। লা রিভের ডিজাইন ও ক্রিয়েটিভ বিভাগের ডেপুটি ম্যানেজার মারুফা ইয়াসমিন জানান, বুট কাট, অর্থাৎ নিচের দিকটা চওড়া, এমন পায়জামাতেও ফরমাল দেখায়। স্কার্টের মতো ঘের, কম ঘের ও মাঝামাঝি ঘেরের পালাজ্জো এনেছেন তাঁরা। কয়েক স্তরের কুঁচি দেওয়া সারারা ছাড়াও আছে বায়াস কাটের সারারা। বায়াস কাট হলো কুঁচি ছাড়া, রুমাল ছাঁটের মতো গোল কাট। ভিসকস আর লিনেন কাপড়ের এসব পায়জামার অধিকাংশ নকশাই স্ক্রিনপ্রিন্টের। লেগিংসগুলো সাধারণত বানানো হচ্ছে নিট কাপড় দিয়ে। লেগিংস হতে পারে একরঙা, প্রিন্ট থাকতে পারে পুরোটায় বা কেবল নিচের অংশে। বায়াস কাট পাবেন স্কার্টেও। কুঁচি দেওয়া, একাধিক স্তরের স্কার্টও পাবেন।
কাটে বৈচিত্র্য
নানা রকম বয়নের সুতি কাপড়ের পায়জামা এনেছে ফ্যাশন হাউস বিবিয়ানা। আছে চার ছাঁটের পায়জামা বা স্কার্ট প্যান্ট। আবার ধুতি পায়জামার ওপর দিকটা ঢোলা, নিচে চাপা। বিবিয়ানার স্বত্বাধিকারী ও ফ্যাশন ডিজাইনার লিপি খন্দকার জানান, পায়জামায় স্ক্রিনপ্রিন্ট বা এমব্রয়ডারির কাজ রয়েছে। আলাদা নকশা ছাড়া কেবল প্যাটার্নের ওপর ভিত্তি করেও পায়জামা বানানো হচ্ছে।
একরঙা সুতি বা ভিসকস কাপড়ে দেশজ কাটের পায়জামা এনেছে ফ্যাশন হাউস দেশাল। একই রঙের জলছাপও আছে। ঘেরওয়ালা ঢোল পায়জামা বা ধুতি পায়জামা তো বটেই, সোজা কাটের পায়জামা ও পালাজ্জোর মতো ঢিলেঢালা পায়জামাও রয়েছে। ইয়োগা প্যান্টেও গরমে আরাম পাওয়া যাবে। দেশালের ডিজাইনার ইসরাত জাহান জানান, যোগব্যায়ামের মতো যেকোনো দেহভঙ্গি অনায়াসে করা যেতে পারে এ প্যান্ট পরে। তাই এই নাম। তাঁদের পায়জামায় স্ক্রিনপ্রিন্ট, ব্লকপ্রিন্ট ও টাই-ডাইয়ের কাজ করা হয়েছে। তিনি বলেন, যেকোনো জামা বা টপসের চেয়ে এক শেড গাঢ় রঙের পায়জামা পরলে ভালো দেখায়। আবার খুব উজ্জ্বল রং না হলে উল্টোটাও করা যায়।
চাই রঙের ছোঁয়া
যাত্রা বাংলাদেশ লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক ইমতেনান মোহাম্মদ জাকি জানান, হাতে বোনা খাদি ও ভারী সুতি কাপড়ের পায়জামা বানাচ্ছে যাত্রা। একটু অনুজ্জ্বল, প্রাকৃতিক রঙের হলেও পায়জামার কোনো না কোনো অংশে থাকছে প্যাচওয়ার্ক, ডিজিটাল প্রিন্ট, সুতার কাজ বা গামছার রঙিন কাজ। পালাজ্জো বা ডিভাইডারের মতো ঢিলেঢালা হলেও পায়জামাগুলো সোজা কাটের। ‘জগারস স্টাইল’ পায়জামার গোড়ালিতে রয়েছে ইলাস্টিক। যেগুলোর কাট প্যান্টের মতো, সেগুলো ক্রপটপ, ক্রপ শার্ট, টি-শার্ট দিয়েও পরা যাবে; বাকি কাটের পায়জামার সঙ্গে কুর্তা, ফতুয়া বা লম্বা টপস মানাবে। হারেম প্যান্ট, ধুতি পায়জামা, ঢোল পায়জামা হয় পাতলা সুতি কাপড়ে। কোরিয়ান প্যাটার্নের পায়জামাও রয়েছে।