কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

আমাদের সফটওয়্যার খাত কি কুমিরের সাত ছানার গল্প হয়ে উঠেছে?

প্রথম আলো ড. বি এম মইনুল হোসেন প্রকাশিত: ১০ মার্চ ২০২৩, ২০:০৬

গল্পের সেই কুমিরের সাত ছানার কথা নিশ্চয় মনে আছে। লেখাপড়া শেখানোর জন্য কুমির তার বাচ্চাদের নিয়ে রেখে এল শিয়াল পণ্ডিতের কাছে। পাঠদানের ভান করা শিয়াল প্রতিদিন একটি করে কুমিরছানা খেয়ে ফেলতে থাকল। কুমির তার বাচ্চাদের দেখতে এলে চতুর শিয়াল সব কটি বাচ্চা একসঙ্গে না দেখিয়ে একটি একটি করে দেখায়। প্রথম দিন একটি বাচ্চা খেয়ে ফেলার পর বাকি ছয়টি বাচ্চা কুমিরকে দেখিয়ে সাত নম্বর হিসেবে আগে দেখানো একটি বাচ্চাকে আরেকবার দেখিয়ে দেয়। এভাবে একের পর এক ছানাগুলোকে খেয়ে শেষ করে আগে দেখানো বাচ্চাকে বারবার দেখিয়ে বোকা কুমিরকে বুঝ দিতে থাকে গল্পের শিয়াল।


আমাদের সফটওয়্যার খাত হয়ে উঠেছে কুমিরছানার গল্পের মতো। সেই কবে আওয়াজ তোলা হয়েছিল, ২০২১ সালের মধ্যে পাঁচ বিলিয়ন ডলারের সফটওয়্যার রপ্তানি করা হবে। তারপর সুনীলের ‘কেউ কথা রাখেনি’ কবিতার মতো ‘কত চন্দ্রভুক অমাবস্যা এসে চলে গেল’, কিন্তু সেই পাঁচ বিলিয়ন ডলার আর এল না। এখন বলা হচ্ছে, সেই লক্ষ্য অর্জিত হবে ২০২৫ সালের মধ্যে। কিন্তু কোথাও বলা হচ্ছে না সফটওয়্যার খাতের কোন কোন উপখাত থেকে সেই পাঁচ বিলিয়ন ডলার আসবে? নাকি ঘুরেফিরে সেই ফ্রিল্যান্সিংয়ে বিশ্বে দ্বিতীয় আর জনমিতির সুবিধার (ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড) সেই পুরোনো বাণীই চলতে থাকবে।


২০২১ সালের মধ্যে নির্ধারিত পাঁচ বিলিয়ন ডলার আমরা কেন লক্ষ্য অর্জন করতে পারলাম না, সেটির বিশ্লেষণ কি হয়েছে? সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে ২০২৫ সালের সেই ভুলের যেন পুনরাবৃত্তি না হয়, সেটির উদ্যোগ কি নেওয়া হয়েছে? আমাদের এমন এক সংস্কৃতি, যেখানে বাজেট ঘোষণার আগেই ‘এই বাজেট মানি না’ ব্যানার প্রস্তুত হয়ে যায়, পরীক্ষার তারিখ ঘোষণার আগেই পরীক্ষা পেছানোর আন্দোলনের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। ২০২৫ সালের জন্য লক্ষ্য নির্ধারণ করে সঙ্গে সঙ্গে কেন সেই লক্ষ্য অর্জন করা যায়নি, সেই অজুহাতও আমরা আগে থেকে প্রস্তুত করে রাখিনি তো?


বাংলাদেশে অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সভাপতি বলেছেন, ‘আমরা তথ্যপ্রযুক্তি খাতে আসলে ভালো নেই। আমাদের অনেক কিছু করার আছে। সে কাজগুলো করতে হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশে কী করতে পারিনি, আমাদের তা দেখতে হবে। সে কাজগুলো স্মার্ট বাংলাদেশে করতে হবে’ (প্রথম আলো, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩)। বেসিস সভাপতির এই কথাগুলো উদ্বেগের এবং সরকারের ওপর মহল থেকে মনোযোগ পাওয়ার দাবি রাখে। আমাদের সফটওয়্যার খাতটি খুব সম্ভাবনায়। সত্যিকার অর্থেই কয়েক বছরের মধ্যে পাঁচ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় সম্ভব। তবে সে জন্য সঠিক ও যৌক্তিক বিশ্লেষণ এবং সরকারি সহায়তা জরুরি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও