কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ত্বকী হত্যার বিচার শুরু হয়নি এক দশকেও

বিডি নিউজ ২৪ নারায়ণগঞ্জ প্রকাশিত: ০৭ মার্চ ২০২৩, ০৯:৪৯

নারায়ণগঞ্জের মেধাবী কিশোর তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যাকাণ্ডের এক দশকেও বিচার শুরু হয়নি। এমনকি মামলাটির অভিযোগপত্রও দাখিল করতে পারেনি তদন্তকারী সংস্থা র‌্যাব।


২০১৩ সালের ৮ মার্চ শহরের পাঁচ নম্বর ঘাট এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর শাখা খাল থেকে ত্বকীর মরদেহ উদ্ধারের পর থেকে বিচারের দাবি জানিয়ে আসছে স্বজন-শুভানুধ্যায়ীসহ দেশের নানা শ্রেণিপেশার মানুষ।


র‌্যাব তদন্ত চলছে বললেও কবে নাগাদ শেষ হবে তা বলতে পারছে না সংস্থার কেউ।


ত্বকীর পরিবার ও সুধীমহলের অভিযোগ, নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী একটি পরিবার এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে তদন্ত শেষ হওয়ার পরও অভিযোগপত্র না দিয়ে কালক্ষেপণ করা হচ্ছে। দীর্ঘ সময়েও এই হত্যাকাণ্ডের বিচার শুরু না হওয়াকে তারা ‘বিচারহীনতার’ সংস্কৃতি বলে আখ্যা দিয়েছেন।


শহরের শায়েস্তা খাঁ সড়কের বাসায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী। অত্যন্ত মেধাবী এই তরুণ এ লেভেল পরীক্ষায় পদার্থবিজ্ঞানে (২৯৭/৩০০) সারাবিশ্বে সর্বোচ্চ এবং রসায়নে (২৯৪/৩০০) বাংলাদেশের মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পান। তবে এই ফলাফল দেখার সৌভাগ্য তার হয়নি।


২০১৩ সালে পরীক্ষার ফল প্রকাশের আগের দিন ৬ মার্চ বাসা থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হন। দুইদিন পর ৮ মার্চ সকালে শহরের পাঁচ নম্বর ঘাট এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর শাখা খাল (কুমুদিনী খাল) থেকে তার মরদেহ উদ্ধার হয়।


গত বৃহস্পতিবার যে ঘরটিতে ত্বকী থাকতেন ওই ঘরেই কথা হয় তার বাবা সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিউর রাব্বির সঙ্গে। ওই ঘরের দেয়ালে ঝুলছে ত্বকীর একটি ফটোফ্রেম। সন্তানের স্মৃতি ধরে রাখতে ঘরটির তেমন পরিবর্তন করা হয়নি। ত্বকীর ব্যবহৃত পড়ার টেবিল, বসার চেয়ারটিও আগে যেখানে ছিল সেখানেই রয়েছে। মনের খেয়াল লিপিবদ্ধ করা খেরোখাতাটিও রাখা হয়েছে সযত্নে।


রফিউর রাব্বি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ২০১৩ সালের ৬ মার্চ বিকালে বাসা থেকে বেরিয়ে শহরের সুধীজন পাঠাগারে যাওয়ার কথা ছিল। সেখান থেকে চাষাঢ়ায় আমার অফিসে আসার কথা। কিন্তু সে আর আসেনি। অনেক খোঁজাখুজি করেও তাকে না পেয়ে সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়।”

ত্বকী হত্যা মামলার নথি থেকে জানা যায়, নিখোঁজের দুইদিন পর ত্বকীর মরদেহ উদ্ধার হয়। ওইদিন অজ্ঞাতদের আসামি করে সদর মডেল থানায় মামলা করেন রফিউর রাব্বি।


এরপর ১৮ মার্চ শামীম ওসমান ও তার ছেলে অয়ন ওসমানসহ সাতজনের বিরুদ্ধে জেলার পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন রাব্বি। শামীম ওসমান বরাবরই ত্বকী হত্যাকাণ্ডে তার পরিবারের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করে আসছেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও