স্কুল শিক্ষায় পরখ ও পাঠবৈরাগ্য

জাগো নিউজ ২৪ ড. মো. ফখরুল ইসলাম প্রকাশিত: ০৫ মার্চ ২০২৩, ০৯:২৯

কিছুদিন পর পর স্কুল শিক্ষার পরীক্ষাব্যবস্থায় নানা পরখ বা ‘এক্সপেরিমেন্ট’ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। নতুন বছর ২০২৩ শুরু হতে না হতেই জেএসসি, জেডিসি নামক স্কুল পাবলিক পরীক্ষা বাদ দেওয়ার ঘোষণা এসেছে। পরীক্ষা নিয়ে সীমাহীন দুর্নীতি, প্রশ্নফাঁস, কোচিং, নোট-গাইড বাণিজ্যসহ আরও নানা অনিয়ম ঠেকাতে এই পাবলিক পরীক্ষাগুলো বাতিল করার নির্দেশনা জারি করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাঠাতঙ্ক ও এটারাক্সিয়া বা পাঠবৈরাগ্য সৃষ্টি হচ্ছে, যা ওদের জন্য সুখকর নয় এবং জাতির জন্যও অশনি সংকেত।


করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত তিন বছর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী বা পিএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। জুনিয়র ও দাখিলের শিক্ষা সমাপনী বা জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষাও অনুষ্ঠিত হয়নি। তার ওপর আকস্মিকভাবে চালু করা হয়েছে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা। বৃত্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার পর্যাপ্ত সময় পায়নি পরীক্ষার্থীরা। ঘোষিত বৃত্তি পরীক্ষা নিয়ে সমালোচনা চলার মাঝে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা বন্ধ করে দেওয়ার সংবাদে নানা নতুন আলোচনা-সমালোচনা জন্ম নিয়েছে।


সেই ২০০৯ সালে হঠাৎ করেই পিএসসি পরীক্ষা পাবলিক পরীক্ষা হিসেবে শুরু করা হয়েছিল। এর একবছর পর ২০১০ সালে জেএসসি ও জেডিসির সমাপনী পরীক্ষাও পাবলিক পরীক্ষা হিসেবে শুরু হয়ে যায়। এসব পরীক্ষাব্যবস্থা চালু হওয়ার সাথে সাথে সাড়ম্বরে শুরু হয় কোচিং ও গাইডবই বিক্রির ব্যবসা। স্কুলের শিক্ষকসহ একটি মহল নানা স্তরের শিক্ষাবাণিজ্য করার উপকরণ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এসব নিয়ে তখন ততটা ভাবনার উদ্রেক হয়নি। কারণ এতগুলা পাবলিক পরীক্ষার সুফল-কুফল নিয়ে গভীরে ভাবার অবকাশ নেওয়ার আগেই এগুলো নির্দেশিত হয়ে বাস্তবে রূপ নিয়ে ফেলেছিল।


তখন সরকারিভাবে বলা হয়, ‘সবার জন্য শিক্ষার সমান সুযোগ সৃষ্টি এবং শিক্ষার্থীদের মাঝ থেকে বোর্ডের পরীক্ষার ভীতি দূর করা এবং মেধাবী ও দরিদ্রদের মাঝে বৃত্তির নিয়মানুযায়ী বৃত্তি প্রদানের সুবিধার্থে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) এবং জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষা ২০০৯ সালে চালু করা হয়।’


সরকারিভাবে ২০১৭ সালে পিইসি এবং জেএসসি পরীক্ষা অব্যাহত রাখার পক্ষে অভিমত ব্যক্ত করে বলেছেন, ‘এ দুটি পরীক্ষা শিক্ষার্থীদের মাঝে এসএসসি পরীক্ষার জন্য আত্মবিশ্বাস সৃষ্টি করছে। ...তবে হঠাৎ এ দুটি পাবলিক পরীক্ষা নিয়ে কিছু কিছু সমালোচনা শুরু হয়ে গেলো এবং এই পরীক্ষা বন্ধ করারও দাবি উঠলো। কিন্তু তাদের এই দাবি মোটেও বাস্তবসম্মত নয়।’ (বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য ৩১.০১.২০১৭)।


অর্থাৎ, দেখা যাচ্ছে ২০১৭ সালে পিএসসি, জেএসসি ও জেডিসি জন্য সমাপনী পরীক্ষা নিয়ে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও মাঠ পর্যায়ের পরিবেশ উভয়ই বেশ ইতিবাচক ভূমিকা রেখে সামনের দিকে এগিয়ে চলছিল।


প্রথম দিকে এসব পরীক্ষা নিয়ে কোনো বড় সমস্যা হয়নি। পরবর্তীসময়ে বেশ কয়েক বছর চারদিকে এর গুণগান নিয়ে প্রচারণা বেশি ছিল বিধায় সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সেমিনার-সিম্পোজিয়ামের আয়োজন হতে থাকে বেশি করে। কোচিং, প্রশ্নফাঁস ইত্যাদি সমস্যাগুলো তখন ততটা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠেনি। নোট-গাইডের পক্ষের লোকজন তখন মহাখুশি ছিল। দেশীয় গণমাধ্যমে তেমন প্রচারণা ছিল না। তাই অভ্যন্তরীণ কিছু সমস্যা থাকলেও ইউনেস্কো বা আন্তর্জাতিক মহলে এসব পরীক্ষার দুর্বলতা নিয়ে ততটা প্রচারণা হয়নি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও