বোঝার ওপর থেকে শাকের আঁটি সরান

সমকাল এম শামসুল আলম প্রকাশিত: ০২ মার্চ ২০২৩, ০০:৩১

নতুন করে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির খবর আমরা জানতে পারলাম। এবার দেখা গেল খুচরা পর্যায়ে ৫ শতাংশ মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। গত তিন মাস ধরে দেখা যাচ্ছে, প্রতি মাসেই দাম বাড়ানো হয়েছে। আগে বিইআরসির মাধ্যমে দাম বাড়ানো হতো। এখন হচ্ছে সরাসরি নির্বাহী আদেশে। এতে ভোক্তার অধিকার বা স্বার্থ রক্ষার সর্বশেষ সুযোগটিও বন্ধ হয়ে গেল। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সমন্বয় করতে গিয়েই দাম বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু কতখানি সমন্বয় হচ্ছে, জনসাধারণ জানতে পারে না। এর ওপর দফায় দফায় মূল্যবৃদ্ধি জনসাধারণের জন্য বোঝার ওপর শাকের আঁটি ছাড়া কিছু নয়। এই শাকের আঁটি নামাতে হবে; বোঝাও কমাতে হবে।


আমরা দেখতে পাচ্ছি গত ১৪ বছরে পাইকারি পর্যায়ে ১১ বার এবং ভোক্তা বা সাধারণের পর্যায়ে ১৩ বার বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে। বিদ্যুৎ খাতে সরকার উন্নয়নের কথা বলে থাকে। কিন্তু তা জনসাধারণের ওপর যে কতখানি চাপ তৈরি করছে, মোটেই আমলে নেওয়া হয় না। এভাবে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো ফলে নিত্যপণ্য থেকে শুরু করে সবকিছুর দাম বাড়তি। মানুষের ভোগান্তি ক্রমেই বাড়ছে। বিদ্যুৎ নিয়ে সরকারের ভুল সিদ্ধান্তের অসহায় খেসারত দিতে হচ্ছে দেশের মানুষকে।  


দেশে আগামীতে বিদ্যুৎ নিয়ে বড় ধরনের সংকট তৈরি হবে– এমন আলোচনা শোনা যাচ্ছে। কিন্তু এমন আলোচনা করার মানে, বর্তমানে যে সমস্যা রয়েছে সেগুলোকে আড়াল করা।


দেশে বিদ্যুৎ নিয়ে সংকট মূলত শুরু হয়েছিল নব্বইয়ের দশক থেকে। এর পর ২০০৫-২০০৬ সালের দিকে মাইলের পর মাইল বিতরণ লাইন বসানো হয়েছিল; কিন্তু তাতে বিদ্যুৎ ছিল না। তারপর ২০২০ সাল নাগাদ ঘরে ঘরে বিদ্যুতের লাইন সঞ্চালন করা হলো। কিন্তু সেই বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য জ্বালানির ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না। তার মানে, বিদ্যুৎ নিয়ে সমস্যা থেকেই গেল।


একটা সময়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় মেশিন ছিল না। এখন মেশিন আছে কিন্তু জ্বালানির অভাবে উৎপাদন করতে পারছি না। আমাদের নিজস্ব জ্বালানি গ্যাস ও কয়লা উত্তোলন করিনি। আমরা এক সময় গ্যাস দিয়ে, কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করার মেশিন জোগাড় করতে পারিনি। তাই বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ ছিল। আবার এখন মেশিন হয়েছে কিন্তু গ্যাস ও কয়লা নেই! আমরা এলএনজি আমদানি করা শুরু করলাম। বলা হলো, আমদানি করা এলএনজি দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। কিন্তু তাতে আমদানি ব্যয়ের সঙ্গে মূল্য বৃদ্ধি করেও সমন্বয় করতে পারিনি। ২০২০ সালে আমরা ৩৬০০ কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়ে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করে একটি ব্যালান্স পজিশনে এলাম। এরপর করোনা মহামারি চলে এলো। সেই সময়ে ভালোভাবেই চলতে থাকল। করোনা পরিস্থিতির এক সময়ে উন্নতি হলো। তার ঠিক পরই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হওয়ার ফলে একটি নতুন মাত্রা যোগ হলো– জ্বালানি সংকট।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও