কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

এমন সাজেকময় রাত জীবনে বেশিবার আসে না

প্রথম আলো সাজেক প্রকাশিত: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৭:৩৭

সাজেক উপত্যকার জিরো পয়েন্ট থেকে উত্তরে কংলাক পাহাড়ের দিকে যাওয়ার সময় মনের মধ্যে একটা পাখি পাখি ভাব আসে। যত দূর দৃষ্টি যায় সবুজে মোড়ানো সব পাহাড় আর পাহাড়। বন-বনানী। কুয়াশা আর মেঘ। সবকিছুর ওপরে যেন আমি ভেসে চলেছি। আঁকাবাঁকা সেই পথের দুপাশে পাহাড় নেমে গেছে কোনো অতলে। সেই ঢালু পথেই দেখা গেল মানুষের ঘরবাড়ি। মাটির দেয়াল আর ছনের ছাউনি। ঘরের চারপাশে উঠোনের মতো ছোট পরিসর। সেখানে মুরগি, ছাগল, শূকর চরে বেড়াচ্ছে। এটা একটা ত্রিপুরাপাড়া। রাস্তা থেকে ঘরের ভিটিতে নামতে মাটি কেটে তৈরি হয়েছে সিঁড়ি। সেই পাড়ার ঘরগুলোর পাশাপাশি নতুন সাত-আটটি মাচাং ঘর তৈরি হয়েছে—পর্যটকদের জন্য। ঘরের সামনে বাঁশ আর খুঁটি দিয়ে করা হয়েছে কাঠের আঙিনা। চারদিকে সীমাহীন পাহাড়ের অচঞ্চল ঢেউ। একটা ঢেউ শেষে আরেকটা। ঢেউয়ের শেষ প্রান্ত মেঘ আর কুয়াশায় ঢাকা। ত্রিপুরাপাড়ার সেই নতুন ঘরগুলোর ছয়টিতে আমরা প্রথম আলো পরিবারের ১২ জন বন্ধু দুই দিনের অতিথি হয়ে ছিলাম।


অতিথিশালাটির নাম মেঘপল্লী। ঘরের সামনে কাঠের আঙিনায় দাঁড়িয়ে দূরের বিস্তৃত সবুজের দিকে চোখ পড়লে মনে হয় সত্যিই যেন মেঘের দেশে দাঁড়িয়ে আছি। খাগড়াছড়ি থেকে ৭০ কিলোমিটারের সর্পিল চড়াই-উতরাইয়ের পথে মাঝে মাঝে অরণ্যের ভেতর থেকে আগুনের শিখার মতো পলাশ, শিমুল জানিয়ে দিয়েছে আমরা বসন্তেই বেড়াতে এসেছি। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১ হাজার ৮০০ ফুট উঁচু এই সাজেক উপত্যকায় আমরা যখন পৌঁছাই, সূর্য তখন মধ্যগগনে। কিন্তু গরম নেই। নবাগত বসন্তে শীতের পুরোপুরি আমেজ এখনো রয়ে যাওয়ায় অসাধারণ নাতিশীতোষ্ণ এক আবহাওয়া আমাদের যেন আলিঙ্গন করল।


আমাদের কটেজগুলোর সামনে বিজন উন্মুক্ত অরণ্য প্রান্তর, শৈলমালা, বুনো কাশ আর আমের মুকুলের ঘ্রাণ মুহূর্তেই কেমন উদাস করে ফেলল। একটু সামনে পাহাড়ের তল থেকে উঠে আসা বহু বছর বয়সী একটা শিমুলগাছ সবকিছুকে ছাড়িয়ে যেন পুরো সাজেক উপত্যকাটা পাহারা দিচ্ছে। গাছটির মাঝবরাবর কাঠের পাটাতন তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। সিঁড়ি বেয়ে উঠতে হয়। কিসের টানে যেন সেখানে গিয়ে উঠলাম। সে আনন্দের তুলনা নেই। মাথার ওপরে সেই পত্রমোচী বৃক্ষের পাতাহীন ডালের বিস্তার, আর তার ফাঁকে নীল আকাশ। সামনে পাহাড় আর পাহাড়, নিচে বনভূমি। আমি যেন পার্থিব জগতের সব ধুলোমলিন বাস্তবতা থেকে অনেক ওপরে উঠে এক অলৌকিক জগতের বাসিন্দা হয়ে গেলাম। মনের ভেতর কত রকম ইচ্ছা যে জেগে উঠছে এ সময়। অবচেতনে শূন্যে ভেসে থাকার একধরনের অনুভূতি শরীরজুড়ে আনন্দ ছড়িয়ে দিল।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও