সাভারের বংশী নদী: উচ্ছেদের পর দখল-উৎসব

www.ajkerpatrika.com সাভার প্রকাশিত: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১১:৫৬

মাত্র চার মাস আগে উচ্ছেদ অভিযানে দখলমুক্ত করা সাভারের বংশী নদীর জায়গা দখলের উৎসব শুরু হয়েছে। উচ্ছেদ করা টিনের স্থাপনার জায়গায় নজরদারির অভাবে এবার নির্মিত হচ্ছে পাকা স্থাপনা। তা-ও দিনের বেলায়। প্রশাসনকে ‘ম্যানেজ’ করতে ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির নামে দখলদারদের কাছ থেকে চাঁদা তোলা হচ্ছে। এই চাঁদা-বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় অর্ধকোটি টাকা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।


এই দখল চলছে সাভারের নামা বাজার এলাকায়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বলেছেন, উচ্ছেদের পর কেউ দখল করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


জানা গেছে, হাইকোর্টের নির্দেশে বংশী নদীর তীরে সাভার নামা বাজার অংশে ২০২২ সালের ২৮ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালানো হয়। চার দিনের এই অভিযানে ২৮৬ জন দখলদারের স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। অভিযানে নদীর ৪ একর জায়গা ও ৪০ শতাংশ খাসজমি দখলমুক্ত করা হয়। উচ্ছেদের তালিকার বাইরে আরও শতাধিক দখলদার রয়েছেন। যাঁরা এখনো উচ্ছেদের আওতায় আসেননি। অথচ ২০১৫ সালে সাভার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছিল, বংশী নদীর তীরের সাভার নামা বাজার অংশে দখলদার রয়েছেন মাত্র ৬২ জন। প্রভাবশালীদের চাপ এবং আর্থিক সুবিধার কারণে অন্য দখলদারদের তথ্য গোপন করার অভিযোগ ওঠে।


এদিকে জনবল নিয়ে অর্থ ব্যয় করে যে জায়গা দখলমুক্ত করা হয়েছিল, নজরদারি না থাকায় চার মাস না যেতেই সে জায়গা আবার দখল হয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র জানায়, উচ্ছেদ তালিকায় দখলদার হিসেবে একাধিক জনপ্রতিনিধি এবং ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের নাম রয়েছে। মূলত তাঁদের প্রভাবে নতুন করে দখল প্রক্রিয়া চলছে।


গত বৃহস্পতিবার সাভারের নামা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বংশী নদীর তীরে উচ্ছেদ হওয়া অসংখ্য দোকানের ভিটা শূন্য। পাশে পড়ে আছে ভাঙা দেয়াল, টিন ও ইটের টুকরা, পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের বর্জ্য। এরই মধ্যে কিছু ভিটায় চলছে নতুন পাকা স্থাপনা নির্মাণের কাজ। নতুন ইট, বালু, রড, সিমেন্ট নিয়ে আসছে ট্রাক। দিনের বেলায় রাজমিস্ত্রিরা দখলমুক্ত জায়গায় পাকা স্থাপনা নির্মাণে ব্যস্ত। দখলদার ব্যক্তি পাশে দাঁড়িয়ে কাজ তদারক করছেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও