কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একটি গল্প একটি উপলব্ধি

জাগো নিউজ ২৪ ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল প্রকাশিত: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৯:৫৪

ভদ্রলোকের বসবাস এ গায়ে হলেও আদতে বাড়ি ভিন গায়ে। কোথায় তা অবশ্য ঠিকঠাক এ গায়ের কারো জানা নেই। গাঁয়ের মানুষ তাকে চেনে চিকিৎসক হিসেবে। ক’বছর এ গায়ে যখন কলেরা ছড়িয়ে পড়েছিল, মানুষ মারা যাচ্ছিল অকাতরে, তখন হঠাৎই তার এ গায়ে আগমন।


সে সময় ডাক্তার হিসেবে মানুষের কদরও পেয়েছেন। তারপর এক সময় যখন মহামারি চলে গেছে, তখন গায়ের বাজারে তার যে ডিসপেনসারি সেখানে শুরুতে কিছু কিছু রোগী হলেও ধীরে ধীরে কমেছে তার সংখ্যা। ডাক্তারের চিকিৎসায় রোগী ভালো হয় না এ নিয়ে গায়ের মানুষের মধ্যে কানাঘুষা বেশ। আর ডাক্তারও ঝেড়ে কাশতে পারেন না। মেট্রিক ফেল করে বড় এক ডাক্তারের চেম্বারে দু’বছর কম্পাউন্ডারির বিদ্যাটুকুই যে তার মূলধন।


ডাক্তারির সার্টিফিকেট তো দূরে থাক কোনো মেডিকেল কলেজের করিডোর কস্মিনকালে মাড়ানোর অভিজ্ঞতাওতো তার নেই। তা তার ডিগ্রি থাক চাই না-ই থাক, মান-সন্মান বোধটুকু তো আছে। ও পাড়ার করিম যখন ‘ছাইয়ের ডাক্তার’ বলে প্রেশক্রিপশনটা ছিড়ে মুখের উপর ছুড়ে বেড়িয়ে গেল তখন তার আতে ঘা টা লেগেছে মারত্মক। খালি মনে হচ্ছিল এর চেয়েতো মৃত্যুও শ্রেয়। মন খারাপ করে কখন ঘুমিয়ে পড়েছেন খেয়াল নেই।


স্বপ্নে হঠাৎ আবির্ভূত হলেন জমরাজ। ডাক্তারের মন খারাপে গলেছে জমরাজের পাশান হৃদয়ও। স্বপ্নে তিনি ডাক্তারকে একটা টোটকা শিখিয়ে দিলেন। এরপর ডাক্তার যখনই রোগী দেখবেন, তিনি যেন খেয়াল রাখেন জমরাজ রোগীর কোথায় দাঁড়িয়ে আছেন। জমরাজ যদি রোগীর মাথার কাছে থাকেন, তাহলে রোগ যাই হোক না কেন কোন একটা ওষুধ লিখে দিলেই চলবে। রোগী তাতে ভালো হবেই হবে।


আর জমরাজ যদি থাকেন পায়ের কাছে, তবে রোগ যাই হোক না কেন ডাক্তার যেন রোগীর আত্মীয়স্বজনকে চূড়ান্ত জবাব দিয়ে দেন। কারন থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর যেখানেই নেয়া হোক না কেন সেই রোগী আর কিছুতেই সুস্থ হবেন না। এরপর থেকেই ঘুরতে শুরু করলো ডাক্তারের ভাগ্যের চাকা। শুধু এ গাঁ আর সে গাঁ নয়, ডাক্তারের ডিসপেনসারিতে দূর-দুরান্তের রোগীদের লাইনও সারাদিন লেগেই থাকে।


অবস্থা এমন যে ডাক্তারের নাওয়া-খাওয়ার সময় পর্যন্ত নেই। কাজের চাপে ডাক্তার যখন প্রায় ভুলতেই বসেছেন জমরাজের সাথে তার স্বপ্নে প্রথম সাক্ষাৎপর্বটির কথা, এমনি একদিন ডাক্তারের ঘুমের মাঝে আবারো জমরাজের আবির্ভাব। জমরাজ দাঁড়িয়ে আছেন তার পায়ের কাছে। ধরফরিয়ে ঘুম থেকে উঠে বসেন ডাক্তার। ভাবেন এ শুধুই স্বপ্ন, সত্যি নয় মোটেও। কিন্তু কই জেগে থেকেও তো তিনি জমরাজকে নিজের পায়ের কাছেই দেখতে পাচ্ছেন।


ডাক্তার তাড়াতাড়ি জায়গা পরিবর্তন করেন। আশা যদি জমরাজকে পায়ের বদলে মাথার কাছে নিয়ে আসা যায়। কিন্তু আদতে গুড়ে বালি। ডাক্তার যতই খাটের এ মাথা থেকে ও মাথায় ছুটোছুটি করেন না কেন, জমরাজ ঠিকঠিকই ঠায় দাঁড়িয়ে তার পায়ের কাছে। সকাল হতে গায়ের লোকে জানতে পারলো তাদের প্রিয় ডাক্তারের ঘুমের মধ্যেই জীবনাবসান হয়েছে।


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও