টাকা সিন্ডিকেটের পকেটে
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক উত্তরা পূর্ব জোনের আওতাধীন ১১ নম্বর চৌরাস্তা ট্রাফিক পুলিশ বক্স। ওপরে লাগানো স্টিকারের বড় বড় হরফে লেখা, ‘বিজ্ঞাপনের জন্য ভাড়া দেয়া হবে’। যা দেখে হাসাহাসি করছিলেন দুই বন্ধু। এ সময় তাদের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আরেকজন বলে ওঠেন, ‘দেখেন ট্রাফিক পুলিশের কাজকর্ম! একদিকে সড়ক দখল করেছে, অন্যদিকে পুলিশ বক্সটি বিজ্ঞাপনের জন্য ভাড়া দিতে বিজ্ঞাপন দিয়েছে। প্রত্যেকটা ট্রাফিক পুলিশ বক্সের একই অবস্থা। দেখে মনেই হবে না এগুলো ট্রাফিক পুলিশ বক্স বা এখানে কোনো কর্মকর্তার অফিস।’ এ চিত্র গত সোমবারের।
সেখানে ফুটপাতে ট্রাফিক পুলিশ বক্স নিয়ে নেতিবাচক আলোচনা ও ক্ষোভ প্রকাশকারীদের মধ্যে একজন ছিলেন মো. ইমরান হোসেন সামির। পেশায় ব্যবসায়ী। তিনি দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘বিশ্বের কোথাও এমন ট্রাফিক পুলিশ বক্স দেখিনি, যেখানে বিজ্ঞাপনের জন্য ভাড়া দেওয়া হয়। এমন বিজ্ঞাপন দেখে আমি নিজেও অবাক হয়েছি। ব্যবসার কাজে বিভিন্ন দেশে যেতে হয়। সড়কে ট্রাফিক পুলিশ বক্স দেখা তো দূরের কথা, ট্রাফিক পুলিশ দেখাও অনেক ভাগ্যের বিষয়। আর যারা বিদেশ থেকে আমাদের এই দেশে ঘুরতে আসে, তারা যখন ফুটপাতে ট্রাফিক পুলিশ বক্স দেখে তখন এই দেশের ভাবমূর্তি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়?’