ঘরেই প্যাটিস তৈরি করবেন যেভাবে
প্যাটিস থেকে পছন্দ করে ছোট বড় সবাই। খুবই সুস্বাদু এই স্ন্যাকস সবারই মন কাড়ে। সাধারণত বিভিন্ন ফাস্টফুডের দোকান থেকেই কিনে খাওয়া হয় এই স্ন্যাকস। তবে চাইলে ঘরেও খুব সহজে তৈরি করতে পারবেন প্যাটিস। রইলো সহজ রেসিপি-
উপকরণ
প্যাটিসের ডো এর জন্য
১. ময়দা দেড় কাপ
২. তেল ২ টেবিল চামচ ও
৩. লবণ স্বাদমতো।
প্যাটিসের পুরের জন্য
১. তেল ২ টেবিল চামচ
২. পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ
৩. আদা বাটা আধা চা চামচ
৪. রসুন বাটা আধা চা চামচ
৫. হলুদ গুঁড়া আধা চা চামচ
৬. মরিচ গুঁড়া আধা চা চামচ
৭. ভাজা জিরার গুঁড়া আধা চা চামচ
৮. লবণ স্বাদমতো।
৯. ডিম ফেটানো ৪টি
১০. ধনেপাতা কুচি ২ টেবিল চামচ
১১. কাঁচা মরিচ মিহি কুচি ১ চা চামচ
১২. তেল আধা কাপ ও
১৩. কর্নফ্লাওয়ার ৩ টেবিল চামচ।
পদ্ধতি
১-৩ নম্বর পর্যন্ত সব উপকরণ একসঙ্গে করে কুসুম গরম পানিতে মেখে নিন। এরপর পরোটার ডো এর মতো তৈরি করে ঢেকে রাখুন ১০-১৫ মিনিট।
এরপর প্যাটিসের পুরের জন্য ১-৮ নম্বর পর্যন্ত সব উপকরণ গরম তেলে একে একে মিশিয়ে ভেজে নিন। ফেটানো ডিমগুলো এর মধ্যে দিয়ে ঝুরঝুরা করে ভেজে নিন। সঙ্গে দিয়ে দিন ধনেপাতা ও কাঁচা মরিচ কুচি। ব্যাস তৈরি হয়ে যাবে প্যাটিসের ভেতরের পুর।
এবার প্যাটিসের রুটি বানানোর জন্য আগে থেকেই মাখিয়ে রাখা ডো থেকে রুটি বানিয়ে নিন। অন্তত ৫টি পাতলা রুটি তৈরি করে নিন। রুটি যত পাতলা হবে প্যাটিস তত মজাদার হবে।
একটি করে রুটি বানিয়ে তার উপর আগে থেকে তৈরি করে রাখা তেল ও কর্নফ্লাওয়ায়ের মিশ্রন নিয়ে হাত দিয়ে/ব্রাশ করে তার উপর আরেকটা রুটি দিতে হবে।
এভাবে একটির উপর আরেকটি দিয়ে ৫টি রুটিই একসঙ্গে করে নিতে হবে। ৫টি রুটি একসঙ্গে করা হলে দু’হাত দিয়ে পেচিয়ে রোল করে নিতে হবে। চাকু দিয়ে এবার রোলটিকে ছোট টুকরো করে কেটে নিতে হবে।
কেটে নেওয়া একেকটি টুকরো দিয়ে হালকা হাতে বেলে রুটি তৈরি করে নিতে হবে। রুটি খুব বেশি বড় বানাতে হবে না, চাকু দিয়ে রুটির চারপাশে কেটে রুটি চারকোণা আকৃতির করে কেটে নিতে হবে।
রুটির মাঝখানে ডিমের পুর দিয়ে প্যাটিসের মতো ভাঁজ করে আঙুল দিয়ে চারপাশে চেপে দিতে হবে, যাতে ভাজার সময় ভেতর থেকে পুর বেরিয়ে না আসে।
চারকোণা রুটির যে কোনো একপাশ এনে আরেক কোনায় লাগিয়ে দিলেই তিন কোণা বা ত্রিভুজ আকৃতির প্যাটিস তৈরি হয়ে যাবে।
সবগুলো একইভাবে বানিয়ে গরম তেলে বাদামিরঙা করে ভেজে তুললেই তৈরি হয়ে যাবে সুস্বাদু প্যাটিস। এই প্যাটিসের পুর ডিম না দিয়ে মাংসের পুর অথবা সবজির পুরও দেওয়া যাবে।