এসব আন্দোলন করে কি বিএনপি সফল হবে

প্রথম আলো মারুফ মল্লিক প্রকাশিত: ১৯ জানুয়ারি ২০২৩, ০৮:৩৪

গত বছরের শেষ দিকে রাজনীতির মাঠে ঢেউ তুলেছিল বিএনপি। ঢাকার সমাবেশের আগপর্যন্ত বিএনপি সুবিধাজনক অবস্থায়ই ছিল। বিভাগীয় সমাবেশগুলোয় গণ–উপস্থিতি ছিল উল্লেখ করার মতো। বিশেষ করে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। এর পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে।


বিভিন্ন দলের যুগপৎ আন্দোলনের ঘোষণা ও বিভাগীয় সমাবেশগুলোয় ব্যাপক জনসমাগমের পরও বিএনপির মধ্যে একটু ঝিমুনি লক্ষ করা যাচ্ছে। অথচ বিভাগীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপি দারুণভাবে চাঙা হয়েছিল। চাঙা অবস্থা থেকে বিএনপি পিছু হটতে শুরু করে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে। মূলত, পল্টনে সমাবেশ করতে না পারা বিএনপির জন্য একধরনের মনস্তাত্ত্বিক পরাজয়। সরকারের চাপের মুখে বিএনপি বলতে শুরু করে, নিরাপদ ও সুবিধাজনক স্থানে তারা সমাবেশ করার কথা বিবেচনা করবে। বিএনপির নমনীয় অবস্থান বুঝতে পেরেই আওয়ামী লীগ কঠোর অবস্থানে চলে যায়। ৭ ডিসেম্বর পল্টনে বিএনপি অফিসের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় এক বিএনপি কর্মী নিহত হন। পুলিশ অভিযান চালায় বিএনপির অফিসে।


এই ঘটনার পরপরই বিএনপিকে কিছুটা অগোছালো মনে হয়। দলীয় অফিসে হামলা এবং মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অন্য নেতা–কর্মীদের গণহারে আটকের পর কোনো শক্তিশালী কর্মসূচি ঘোষণা করেনি বিএনপি। ৭ ডিসেম্বর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একা একা কেন্দ্রীয় অফিসের সামনে ফুটপাতে অসহায়ের মতো বসে ছিলেন। এ সময় অন্য কোনো নেতা–কর্মীকে তাঁর পাশে দেখা যায়নি। অথচ বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনগুলোর ঢাউস আকারের কমিটি হয়। ৩০০ থেকে ৪০০ মানুষের কমে কোনো কমিটি হয় না। দলের সংকটময় মুহূর্তে এসব কমিটির সদস্যরা কোথায় ছিলেন, তা কেউ জানেন না।


১০ ডিসেম্বর পল্টন থেকে সমাবেশ সরিয়ে নিয়ে বিএনপি মূলত আওয়ামী লীগের সঙ্গে মনস্তাত্ত্বিক খেলায় হেরে যায়। গোলাপবাগে বড় সমাবেশ হলেও এটা বিএনপির চেয়ে সরকারের সফলতা বেশি ছিল। সরকার বা আওয়ামী লীগ এই ঘটনায় প্রমাণ করতে পেরেছে যে তারা যেভাবে চেয়েছে, বিএনপি সেভাবেই সমাবেশ করেছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও