গবেষণা ও উন্নয়ন

দেশ রূপান্তর বদরুল হাসান প্রকাশিত: ১৭ জানুয়ারি ২০২৩, ১২:০৭

একটা দেশের উন্নতি নির্ভর করে তার প্রাকৃতিক সম্পদের ভাণ্ডার ও জনসম্পদের প্রকৃতির ওপর। শুধু প্রাকৃতিক সম্পদ থাকলেই কোনো দেশকে উন্নত বলা যায় না; বড়জোর ধনী আখ্যায়িত করা যায়। কিন্তু জনসম্পদে সমৃদ্ধ একটি দেশের উন্নতি হয় টেকসই, বহুমুখী ও গতিশীল; প্রাকৃতিক সম্পদের লভ্যতা সেখানে তেমন বড় কোনো বিষয় হয়ে ওঠে না, বরং সেটার দুর্লভতাই দেশের নাগরিক ও নেতাদের উন্নয়ন-প্রচেষ্টায় ‘মন্ত্রের সাধন, কিংবা শরীর পতন’-এর দেবসুধা পানে মরিয়া হয়ে ওঠার প্রেরণা জোগায়। প্রাকৃতিক সম্পদ আপনা-আপনি দেশের নাগরিকদের জীবন মানের উন্নয়ন ঘটায় না; দক্ষ জনসম্পদের মাধ্যমে সেগুলো সদ্ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে। সে কারণে আফ্রিকার অনেক দেশ মহামূল্যবান নানা খনিজের অধিকারী হয়েও আজ অনুন্নত বা বড়জোর উন্নয়নশীল তকমায় ভূষিত। আর ইসরায়েল, দক্ষিণ কোরিয়া ও সিঙ্গাপুরের মতো দেশ তেমন কোনো প্রাকৃতিক সম্পদ না থাকা সত্ত্বেও অতি উন্নত রাষ্ট্রের মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত। তাদের এই উল্লম্ফনের পেছনে অনুঘটকের কাজ করেছে মানবসম্পদের উন্নয়ন, যেটা আবার এসেছে উপযুক্ত শিক্ষাব্যবস্থা, গবেষণা ও উদ্ভাবনী কার্যক্রমে পর্যাপ্ত বিনিয়োগ থেকে।


পাকিস্তানের এক বছর পর ১৯৪৮ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার স্বাধীনতা লাভ, এরপর ১৯৫০ থেকে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে নিমজ্জন, যুদ্ধ শেষে বিধ্বস্ত অবকাঠামো ও মহারুগ্ণ এক অর্থনীতির পৃষ্ঠদেশে আরোহণ এই ছিল উন্নয়ন-পূর্ব দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাস। কিন্তু তারা ভীষ্মের প্রতিজ্ঞা নিয়ে দেশ গড়ার ব্রত শুরু করেন আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা প্রবর্তনের মাধ্যমে, যেখানে প্রাধান্য পায় স্টেম (Science, technology, engineering and mathematics) এডুকেশন এবং গবেষণা ও উদ্ভাবন। প্রথম দিকে সরকারকে বিদেশ থেকে প্রযুক্তি আমদানি করতে হতো বটে, তবে স্থানীয়ভাবে গড়ে তোলা প্রশিক্ষণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সেগুলোর বিস্তার যেমন ঘটানো হতো, তেমনি সেগুলোতে নব নব স্থানীয় প্রযুক্তির উদ্ভাবন সূচিত হতো। এগুলোকে সুসমন্বিত করে জাতীয় ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য তারা গঠন করেন এনআইএস (National Innovation System)। প্রযুক্তির বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা ও উদ্ভাবনের জন্য ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় nq KIST (Korea Institute of Science & Technology) এবং স্থানীয়ভাবে জটিল প্রযুক্তির উন্মেষ ঘটাতে ১৯৭১ সালে স্থাপন করা হয় KAIST (The Korean Advanced Institute of Science & Technology)। এ পর্যায়ে এনআইএসের প্রধান কাজ হয়ে যায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গবেষণাকাজের সমন্বয় সাধন, বেসরকারি পর্যায়ে গবেষণার সম্প্রসারণ, গবেষণার ফলাফলের বিস্তার সাধন এবং সব পর্যায়ে গবেষণা ও উন্নয়ন (Research & Development, R&D) কার্যক্রমকে টেকসইকরণ।


গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রমকে উৎসাহিত করতে সরকার এই খাতে সম্পদের ন্যূনতম বিনিয়োগ নিশ্চিত করার ব্যবস্থা নেয়, বেসরকারি কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠানে উন্মুক্ত হস্তে কর রেয়াত ও প্রণোদনা প্রদান করে এবং এই খাতে যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরা সেরা স্নাতকরা নিয়োজিত হতে পারেন, তার ব্যবস্থা নেয়। এসব ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে বেসরকারি সেক্টরে এই খাতে বিনিয়োগ ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। ১৯৮০ সালে এই খাতে বেসরকারি বিনিয়োগ ছিল জিডিপির ০.২৮ শতাংশ, পক্ষান্তরে ২০১০ সালে তা বেড়ে উন্নীত হয়ে যায় ২.৮০ শতাংশে। ২০২২ সালের হিসাব অনুযায়ী আরঅ্যান্ডডি খাতে দক্ষিণ কোরিয়ার বরাদ্দ বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ; জিডিপির ৪.৮ শতাংশ। ৫.৪ শতাংশ বরাদ্দ নিয়ে ইসরায়েল এ খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দের অধিকারী।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও