কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

You have reached your daily news limit

Please log in to continue


লুর সফরে দুই দেশের সম্পর্কে নতুন গতি

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লুর সফর ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এ সফর নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়। আমরা দেখেছি, প্রায় একই সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দু'জন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বাংলাদেশ সফরে এসেছেন। প্রথমে এসেছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল এইলিন লাউবেখার। আবার ২০ জানুয়ারি আসছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষ র‌্যাপোর্টিয়ার ফিলিপ গঞ্জালেজ। তবে আমেরিকা ও বাংলাদেশের মধ্যে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ঘটনা ঘটে; ডোনাল্ড লুর দুই দিনের সফরে সেখান থেকে উত্তরণ ঘটিয়ে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও এগিয়ে নেওয়ার বার্তা স্পষ্ট।

বলার অপেক্ষা রাখে না, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। মহান মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭২ সালের ৪ এপ্রিল বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে দেশটির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় যে সম্পর্ক শুরু হয়, তা পাঁচ দশকের অধিককালে নানা মাত্রা লাভ করে। ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু ওয়াশিংটন সফর করেন। এরপর প্রায় প্রতিটি সরকারের সময়েই সম্পর্ক এগিয়েছে। বৈদেশিক সাহায্য, অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছাপিয়ে যুক্তরাষ্ট্র একসময় বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির বৃহত্তম বাজারে পরিণত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের আরেকটি দিক হলো, সেখানে অনেক বাংলাদেশি বাস করেন এবং রেমিট্যান্স প্রাপ্তির দিক থেকেও এক নম্বরে উঠে এসেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) আমেরিকায় বসবাসকারী প্রবাসীরা ১৯৬ কোটি ৬৭ লাখ (১.৯৭ বিলিয়ন) ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। আর সৌদি আরব থেকে এসেছে ১৯০ কোটি ৯১ লাখ (১.৯১ বিলিয়ন) ডলার। বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক বিস্তৃত হয়ে নিরাপত্তা ও কৌশলগত দিকেও তা প্রসারিত হয়েছে। সে জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই নয়, বিশ্বের অন্যান্য পরাশক্তির কাছেও বাংলাদেশের অবস্থান এখন গুরুত্বপূর্ণ। সে জন্যই আমাদের এখানে বিদেশি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের সফর আগের তুলনায় বেড়ে গেছে। আমেরিকা তার এশীয় নীতির কারণে এবং ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজির (আইপিএস) কারণেও ঢাকার বিষয়ে মনোযোগী। তা ছাড়া দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আসা এবং ধারাবাহিক উন্নয়নের কারণেও যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেকের ঢাকার প্রতি বিশেষ দৃষ্টি রয়েছে।

কিন্তু ডোনাল্ড লু এমন সময়ে ঢাকা সফরে এসেছেন, যখন দুই দেশের সম্পর্কে আপাতদৃষ্টিতে কিছুটা টানাপোড়েন লক্ষ্য করা গেছে। ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্র র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। অনেক আগে থেকেই দেশটি নির্বাচনসহ আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নানাবিধ মন্তব্য করে আসছে। এর আগে দেশটি জিএসপি সুবিধা স্থগিত করায় পণ্যের বাজারে উদ্বেগ তৈরি হয়। সম্প্রতি নির্বাচনসহ নানা বিষয়ে তাদের মন্তব্য কিছুটা হলেও অপ্রীতিকর সংকট তৈরি করে। যে সময়ে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক শক্তিশালী হতে পারত, সেখানে কিছু অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এমন পরিস্থিতি তৈরির পেছনে বাংলাদেশের দায় আমরা দেখছি না। এমন নয় যে, বাংলাদেশ তার পররাষ্ট্রনীতি থেকে সরে গেছে। সবার সঙ্গে সম্পর্ক রাখার নীতিতে বাংলাদেশ অটল থাকার পরও সম্পর্ক টানাপোড়েনের ক্ষেত্রে দায় সংশ্নিষ্ট দেশেরই। মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশ বিশ্বের শক্তিধর কোনো দেশের প্রতি বিশেষভাবে ঝুঁকে পড়েনি, যে কারণে কারও সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন