আ'লীগের জোট চর্চার ভূত ও ভবিষ্যৎ
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর প্রায় পরিত্যক্ত ঘোষিত ১৪ দলীয় জোটকে আওয়ামী লীগ আবারও চাঙ্গা করতে চাইছে। এরই মধ্যে শাসক দল ঘোষণা করেছে, আগামী জাতীয় নির্বাচনে তারা জোটগতভাবে অংশ নেবে। এমনকি, দৃশ্যত এ ক্ষেত্রে তাদের আন্তরিকতার প্রমাণস্বরূপ ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় উপনির্বাচনে পাঁচটি আসনের দুটি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের। অতীতের অনেক নির্বাচনে অন্যথা হলেও এবার ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাসদকে ছেড়ে দেওয়া আসনগুলোতে শাসক দলের কোনো 'বিদ্রোহী' প্রার্থীও নেই। বলা বাহুল্য, সম্প্রতি সংসদ থেকে বিএনপি সদস্যদের পদত্যাগের কারণে আসনগুলো শূন্য হয়।
প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালে তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত সরকারবিরোধী আন্দোলন জোরদারের লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট ২৩ দফা কর্মসূচির ভিত্তিতে রাশেদ খান মেননের নেতৃত্বাধীন ওয়ার্কার্স পার্টি, হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বাধীন জাসদসহ প্রধানত কয়েকটি বাম দল নিয়ে আওয়ামী লীগ ১৪ দলীয় জোট গঠন করে। পরবর্তী সময়ে আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি, তরীকত ফেডারেশনসহ আরও কয়েকটি দল এতে যোগ দেয়। আওয়ামী লীগ বিভিন্ন সময়ে একে 'আদর্শিক জোট' হিসেবে বর্ণনা করেছে।