শিল্প উৎপাদন ব্যাহত, কমবে প্রবৃদ্ধি
কয়েক মাস ধরে দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি হয়েছে। জিনিসপত্রের দাম বেশ বেড়েছে। নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবার সংসার খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছে। মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ায় চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি কমে যাবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। বিশ্বব্যাংক মনে করে, বিরাজমান উচ্চ মূল্যস্ফীতি অর্থনীতিতে পাঁচ ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এগুলো হলো মানুষের প্রকৃত আয় কমেছে; শিল্পপ্রতিষ্ঠানের খরচ বেড়েছে; জ্বালানি তেলের স্বল্পতা; আমদানি নিয়ন্ত্রণ এবং মুদ্রানীতি কঠোর করা।
এমন প্রেক্ষাপটে বিশ্বব্যাংক মনে করছে, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি কমে ৫ দশমিক ২ শতাংশ হতে পারে। রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধসহ বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে অর্থনীতির এমন দশা হবে বলে মনে করে বিশ্বব্যাংক।
বিশ্বব্যাংকের ‘গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্ট’ প্রতিবেদনে জিডিপি প্রবৃদ্ধির এই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। সরকার চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ঠিক করেছে সাড়ে ৭ শতাংশ। বিশ্বব্যাংক আরও বলেছে, আগামী অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি কিছুটা বেড়ে ৬ দশমিক ২ শতাংশ হতে পারে। তখন অর্থনীতি আবার পূর্ণ গতি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক।