কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

৩২ বছরেও ব্যবহার হয়নি তিন ওয়াটার প্লান্ট

বণিক বার্তা যশোর সদর প্রকাশিত: ২৫ ডিসেম্বর ২০২২, ১৩:২৪

যশোর শহরে আয়রনমুক্ত ও সুপেয় পানি সরবরাহের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে ১৯৯০ সালে তিনটি ওয়াটার আয়রন ট্রিটমেন্ট প্লান্ট নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু সেগুলো অব্যবহূত অবস্থায় পড়ে আছে তিন দশক। এটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছিল পৌনে ৪ কোটি টাকা। অথচ পৌর কর্তৃপক্ষ যে পানি সরবরাহ করে আসছে তা মাত্রাতিরিক্ত আয়রনযুক্ত। সুপেয় পানি দূরের কথা, সাপ্লাই পানিতে কাপড়চোপড় ধুলে হলুদ হয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন রোগ-বালাইয়ে আক্রান্ত হচ্ছে অনেকে।


পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) বিএম কামাল আহমেদ জানান, ১৯৯০ সালে যশোর শহরে আয়রনমুক্ত ও সুপেয় পানি সরবরাহের লক্ষ্যে তিনটি ওয়াটার আয়রন ট্রিটমেন্ট প্লান্ট নির্মাণ করা হয়। ফাইভ ডিস্ট্রিক ওয়াটার প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি ট্রিটমেন্ট প্লান্টে ব্যয় হয় ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা। এ হিসাবে তিনটি ট্রিটমেন্ট প্লান্ট নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। দায়িত্বশীল এ কর্মকর্তার দাবি, যশোর পৌরসভার পানিতে তেমন আয়রন নেই। তাছাড়া ট্রিটমেন্ট প্লান্ট পরিচালনা করা বেশ ব্যয়বহুল। যে কারণে গভীর নলকূপ থেকে পানি তুলে সরাসরি সাপ্লাই লাইনের মাধ্যমে গ্রাহকদের মধ্যে সরবরাহ করা হচ্ছে। পৌর কর্তৃপক্ষ ১৫ হাজার গ্রাহকের মধ্যে পানি সরবরাহ করছে।


পৌরসভার অন্য একটি সূত্রের দাবি, কয়েক বছর আগে পানির গ্রাহক ছিল ১৯ হাজারের কিছু বেশি। পানির মান ভালো না হওয়ায় অনেকেই স্বেচ্ছায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছেন। বিল বকেয়ার কারণেও কিছু সংযোগ বিছিন্ন করেছে পৌর কর্তৃপক্ষ।


শহরের শংকরপুর গোলপাতা এলাকার গোলাম মোস্তফার অভিযোগ পৌরসভার সাপ্লাই পানিতে ময়লা আসে। মাঝেমধ্যে ট্যাপ থেকে হলুদ ও দুর্গন্ধযুক্ত পানি পড়ে। প্রতি সপ্তাহে ট্যাংক পরিষ্কার করতে একটি ভিকসল কিনতে হচ্ছে। তার পরও ট্যাংক পরিষ্কার রাখা যাচ্ছে না। দুই-এক মাস পরপর মিস্ত্রি ডেকে বাড়ির পানির পাইপ পরিষ্কার করতে চলে যায় ৫০০ টাকা। পাইপ পরিষ্কার করলে যা বের হয়, তা দেখলে যে কেউ বলবেন গোবরের গোলা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও