যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন : মানবপ্রেমে উৎসারিত
আজ ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মহাআনন্দের দিন। আজ যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সংকটের মধ্যে বিশ্বজুড়ে প্রায় ৩০০ কোটি খ্রিস্টান জনগোষ্ঠীর মাঝে এসেছে মানবপ্রেমের দিশারি মহামানবের আবির্ভাব তিথি। কিন্তু দুটি দেশের যুদ্ধ বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে এবং সেই সংকট মানুষকে মানুষে মানুষে একত্রিত হতে নিষেধ করলেও খ্রিস্টের বাণী আজ জয়যুক্ত হচ্ছে সর্বত্র।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জীবন নাভিশ্বাসে চড়লেও বিপদগ্রস্ত মানুষকে সাহায্যের জন্য বিভিন্ন রাষ্ট্র এগিয়ে এসেছে, পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রের মানুষ বিপন্ন হলেই তাদের খোঁজ নিচ্ছে, সহায়তা দিতে সাহসী ভূমিকা রাখছে- পরোপকারী একদল মানুষ দিনরাত যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের সেবা দিয়ে নির্ভীকভাবে মানুষকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে। ফ্রন্টলাইনের সেসব মানুষ- তথা ডাক্তার-নার্স এবং অন্যান্য যোদ্ধারা প্রকৃতপক্ষে মহামানবের দেখানো পথে হাঁটছেন।
প্রভু যিশু খ্রিস্টঠিক ২০২১ বছর আগে ঈশ্বরে বিশ্বাস রেখে কুষ্ঠরুগীকে স্পর্শ করেছিলেন; অন্ধ এবং মৃত মানুষকে সুস্থ ও জীবন দান করে মানবসেবার মহিমা প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। দেশ-বিদেশে মানুষের জন্য অপর মানুষের যে কান্না শোনা যাচ্ছে, দানের ইতিহাস রচিত হচ্ছে, তা পবিত্র আলোয় স্নাত করে দিয়েছে সভ্যতাকে। আর সেখানেই আছে মানবপ্রেমের নেতা যিশুর বাণী।
যিশু পাপের শৃঙ্খলে আবদ্ধ মানুষকে মুক্তির বাণী শুনিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘ঘৃণা নয়, ভালোবাসো। ভালোবাসো সবাইকে, ভালোবাসো তোমার প্রতিবেশীকে, এমনকি তোমার শত্রুকেও। মানুষকে ক্ষমা করো, তাহলে তুমিও ক্ষমা পাবে। কেউ তোমার এক গালে চড় মারলে তার দিকে অপর গালটিও পেতে দাও।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘পাপীকে নয়, পাপকে ঘৃণা করো। গরিব-দুঃখীদের সাধ্য মতো সাহায্য করো, ঈশ্বরকে ভয় করো।’