চট্টগ্রামে পড়ে আছে ২১ হাজার স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স, নিচ্ছেন না গ্রাহকরা
গ্রাহকরা না নেওয়ায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চট্টগ্রাম কার্যালয়ে পড়ে আছে ২১ হাজার স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স।
বিআরটিএ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গ্রাহকদের মোবাইল ফোনে মেসেজ দেওয়ার পাশাপাশি মাইকিং, পত্রিকায় গণবিজ্ঞপ্তি প্রচারের পরও তারা দীর্ঘদিন ধরে এসব লাইসেন্স সংগ্রহ করছেন না।
বিআরটিএ চট্টগ্রাম কার্যালয় থেকে জানা গেছে, টাইগার আইটি বাংলাদেশ লিমিটেডের নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিআরটিএর চুক্তি নিয়ে জটিলতার কারণে ২ বছরের বেশি সময় ধরে আটকে ছিল সারাদেশের ১২ লাখ ৪৫ হাজার স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রিন্টিংয়ের কাজ। এরপর ২০২১ সালের ২৯ আগস্ট বিএমটিএফ নামে আরেক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিআরটিএ চুক্তি সই করে। পরে একই বছরের ১০ অক্টোবর থেকে স্মার্ট কার্ড লাইসেন্স সরবরাহ শুরু করে বিআরটিএ। ইতোমধ্যে ২ তৃতীয়াংশ লাইসেন্স সংগ্রহ করেছেন গ্রাহকরা।
তবে প্রিন্টিংয়ের কাজ আটকে থাকায় প্রায় ২ বছর ধরে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ড্রাইভিং লাইসেন্স সরবরাহ করতে পারেনি বিআরটিএ। অন্তর্বর্তীকালীন প্রাপ্তি স্বীকার রশিদ মোটরযান চালানোর অস্থায়ী অনুমতিপত্র হিসেবে ব্যবহার করছিলেন চালকরা। লিখিত, মৌখিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও ড্রাইভিং লাইসেন্স পাননি তারা।
বিআরটিএ চট্টগ্রামের পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ার) শফিকুজ্জামান ভূঁইয়া দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'চট্টগ্রামের অনেক বাসিন্দা প্রবাসে গিয়ে ড্রাইভিং পেশায় যুক্ত হন, সেজন্য তারা দেশে থাকতে ড্রাইভিং লাইসেন্স করিয়ে নেন। যেহেতু আমাদের লাইসেন্স প্রিন্ট এবং বিতরণ বন্ধ ছিল, তাই অনেকে লাইসেন্সের প্রক্রিয়া শেষ করে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন। এখন তারা লাইসেন্স সংগ্রহ করতে পারছেন না। এ ছাড়া অনেকেই মোবাইলের সিম পরিবর্তন করেছেন, তারাও মেসেজ না পেয়ে কার্ড নিতে আসছেন না।'