কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ওয়ানডে জিতলেও টেস্ট জিতি না কেন, ধৈর্য না শান্তির অভাব?

বিডি নিউজ ২৪ অজয় দাশগুপ্ত প্রকাশিত: ২৪ ডিসেম্বর ২০২২, ১৯:০৯

বাংলাদেশ ক্রিকেট দল ভারতকে ওয়ানডে সিরিজ হারিয়ে দিয়েছে। দুনিয়ার সব বড় দলগুলোকেই হারাতে পেরেছে এবং পারবে। অথচ ওই একই দল টেস্ট ক্রিকেটে নাকানি চুবানি খায়। পাঁচ দিনের খেলা দিন শেষ হবার আগেই ছেড়ে আসে। আসতে বাধ্য হয়। এর কারণটি কি না ভেবেই খেলোয়াড়দের দোষারোপ করেই আজীবন শান্তি পাবো আমরা? ভালো করে খেয়াল করলে দেখবেন আমাদের জাতীয় জীবন ও চরিত্রের সাথে এই ফলাফলের এক অদ্ভুত মিল আছে। ধৈর্য, সহ্য আর শক্তি এই তিন যেখানে একত্রিত হবার কথা সেখানেই আমরা কুপোকাৎ। আমি এগারোজন খেলোয়াড়ের দোষ ধরার পরিবর্তে বলতে চাই এর মূল কারণ আমাদের সমাজ আর চলমান বাস্তবতা।


আপনি মানুষের জীবন বা জীবনধারা দেখলেই বুঝবেন কোথাও তাদের স্বস্তি নাই। জনসংখ্যায় ভারত আমাদের চাইতে অনেক এগিয়ে। জনবহুল ভারতের শহরগুলোয় বিশেষ করে কলকাতার মানুষদের ভেতর আমি এমন অস্থিরতা বা তাড়াহুড়ো দেখিনি। যে লোকটা ভাঁড়ের চা বানায় তার মধ্যেও ছটফটানি নেই। ছটফটানি দেখিনি রিকশাওয়ালার আচরণে। একবার আমিই তাড়াতাড়ি করে সল্টলেকের শপিং মলের সামনে রাখা খালি এক রিকশায় চেপে আনন্দের সাথে হুকুম দিলাম, চলেন দাদা। আমার দিকে অবাক চোখে তাকিয়ে কপালের ঘাম মুছতে মুছতে রিকশাচালক ভদ্রলোক ঠান্ডা মাথায় জবাব দিয়েছিলেন, নেমে পড়ুন বাবু, আমি যাব না। আমার আগের সিরিয়ালে আরেকজন আছে তার সাথে চলুন। কী আর করা? অবনত মস্তকে আরেক রিকশায় চাপতে চাপতে স্বগতোক্তি করেছিলাম, শিখলুম দাদা।


নিউ ইয়র্ক, টোকিও, সিডনিসহ বিশ্বে অসংখ্য জনবহুল নগরী রয়েছে। সর্বত্র মানুষ ছুটছে বটে কিন্তু তাড়াহুড়োয় ভুল করা বা দুর্ঘটনা ঘটানোর মতো কিছু করে না। দু-এক পার্সেন্ট মানুষকে বাদ দিলে এটাই প্রবণতা। এবার দেশের দিকে তাকান। রাজনীতি নেই, গণতন্ত্র মরে যাচ্ছে এসব কথায় আমরা অভ্যস্ত। এটাও সত্য যে রাজনীতি অচলায়তনে তালাবন্দী। কিন্তু রাজনীতি সচল হতে না হতে কি অবস্থা দেখলাম? এই মারে, তো সে মারে। মাঠে আন্দোলন জমে ওঠার আগেই লাশ ফিরে গেছে ঘরে। আমি দূরদেশে ইউটিউব ও টিভি নিউজে এসব দেখি আর ভাবি, কে আসলে আগ্রাসী? পুলিশ না বিপ্লবের নামে রাগী মানুষজন না সরকারি দল? আমার উত্তর, কেউ কারে নাহি ছাড়ে, সমানে সমান। সরকারি দল এমন এক জায়গায়, তাদের হাতের মুঠোয় সবকিছু। ব্যক্তি ও সামাজিক জীবনে যাদের হাতের মুঠোয় সবকিছু থাকে, মানুষ তাদেরকে ভয় পায় আবার সম্মানও করে। একসময় এমন জমিদার শ্রেণির মানুষেরা দান-খয়রাত করতেন, গরীববান্ধব নামে পরিচিতি ছিল তাদের। এখন যারা দাপুটে তাদের দিলে রহম বলতে কিছু নাই। খালি মারে আর মারে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও