![](https://cdn.jagonews24.com/media/imgAllNew/BG/2019November/nayon-20221221095458.jpg)
যে কারণে মেট্রোরেলের ভাড়া কমানোর দাবি
রাজধানীর প্রায় দুই কোটি মানুষের নিত্যদিনের ভোগান্তির নাম গণপরিবহন। সিন্ডিকেটের হাতে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে নগরীর গণপরিবহন। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে শেখ হাসিনার সরকার রাজধানীবাসীর জন্য মেট্রোরেল চালুর উদ্যোগ নেয়। ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসেন খালেদা জিয়া, আর আলোর মুখ দেখেনি মেট্রোরেল প্রকল্পের ফাইল। ২০০৮ সালে আবার ক্ষমতায় এসে শেখ হাসিনার সরকার মেট্রোরেল নিয়ে কাজ শুরু করে।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ২৯ ডিসেম্বর চালু হচ্ছে মেট্রোরেল। উন্নয়নের ধারায় আরও একধাপ এগিয়ে গেলো দেশ। মেট্রোরেল আমাদের দেশে নতুন, পাশের দেশ ভারত এবং পাকিস্তানে অনেক আগেই চালু হয়েছে। রাজধানীর প্রায় দুই কোটি মানুষ প্রতীক্ষায় রয়েছে কবে চালু হবে তাদের স্বপ্নের মেট্রোরেল। অবশেষে এই বিজয়ের মাসে চালু হচ্ছে মেট্রোরেল। কিন্তু ভাড়া নিয়ে বিপত্তিতে পড়েছে নগরবাসী। নির্ধারিত ভাড়ায় তাদের আপত্তি।
ভাড়া নির্ধারণের ক্ষেত্রে যাত্রীসাধারণের মতামত ও কোনো প্রকার পর্যবেক্ষণ করেনি কর্তৃপক্ষ। রাজধানীর গণপরিবহনের দ্বিগুণ হারে মেট্রোরেলের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে, যা অযৌক্তিক ও গণবিরোধী। এতে জনমনে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। ঢাকা ও কলকাতা শহরের আর্থসামাজিক অবস্থা, মাথাপিছু আয় ও গড় জিডিপি আয় বিবেচনায় নিলে প্রায় সব সূচকে সমান অবস্থানে থাকলেও কলকাতার মেট্রোরেলের তুলনায় ঢাকার মেট্রোরেলে কিলোমিটারপ্রতি ভাড়া দ্বিগুণ ধরা হয়েছে।
এতে যাত্রীস্বার্থ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে, বেসরকারি লক্কড়-ঝক্কড় বাস কোম্পানিগুলো লাভবান হবে, সামর্থ্যহীন যাত্রীসাধারণ মেট্রোরেল ব্যবহারের সক্ষমতা হারাবে। ফলে মেট্রোরেলে যাত্রী পরিবহনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ব্যাহত হবে। অন্যদিকে জনমনে ক্ষোভ-অসন্তোষ বাড়বে।
- ট্যাগ:
- মতামত
- মেট্রোরেলের ভাড়া