শীতের সরিষা শাক
শীতকাল মানেই টাটকা শাকসবজির সমারোহ। সরিষা শাক খাওয়ার উপযুক্ত সময় হল শীতকাল। এই শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেমন ফ্ল্যাভিনয়েড, লুটিন ও বি়ট়া ক্যারো়টিন রয়েছে। এছাড়াও ভিটামিন এ,সি,ই ও কে-এর সমৃদ্ধ উৎস হল সরিষা শাক।
পোল্যান্ড কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় দ্বারা পরিচালিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ব্রাসিকা জাতীয় শাকসবজি প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে উদ্দীপিত করতে সাহায্য করে, অক্সিডেটিভ মানসিক চাপ প্রতিরোধ করে এবং ডিটক্সিফিকেশনের কাজ করে। এর ফলে এসব শাকাসবজি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, দৃষ্টিশক্তি বজায় রাখতে, হাড়ের ঘনত্ব বাড়াতে, হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে এবং সম্ভাব্য ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করতে পারে। সরিষার শাকও এই গোত্রীয় ।
সরিষার শাক খেলে যেসব স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়-
হাড়ের স্বাস্থ্য শক্তিশালী করে : সরিষার শাক ভিটামিন কে এবং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ, যা হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। ভিটামিন কে অস্টিওপরোসিস এবং ফ্র্যাকচারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে ।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় :সরিষার শাকে থাকা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে, অক্সিডেটিভ স্ট্রেস প্রতিরোধ করে।
হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য ভালো রাখে : আপনি কি জানেন সবুজ শাক কোলেস্টেরল কমায়? সরিষার শাকে থাকা পিত্ত অ্যাসিড শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করে, যার ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস পায়।
চোখের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো : সরিষার শাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে যা দৃষ্টিশক্তি উন্নত করার জন্য অপরিহার্য। গাঢ় শাক-সবুজ শাকসবজিতে ক্যারোটিনয়েড যেমন লুটেইন এবং জেক্সানথিন থাকে যা চোখের ম্যাকুলার পিগমেন্ট তৈরি করতে সাহায্য করে। নিয়মিত খাদ্যতালিকায় ক্যারোটিনয়েডযুক্ত শাক রাখলে বয়সজনিত ম্যাকুলার ডিজেনারেশন , ছানি এবং রেটিনার সমস্যা প্রতিরোধ করে।