ছাত্ররাজনীতি কি আধ–মরাদের ঘা মেরে বাঁচাতে পারবে?

প্রথম আলো সোহরাব হাসান প্রকাশিত: ০৩ ডিসেম্বর ২০২২, ২০:৩১

ডিসেম্বর বিজয়ের মাস। একাত্তরে যাঁরা এই বিজয় এনে দিয়েছিলেন, তাঁদের সিংহভাগ ছিলেন তরুণ। যাঁরা মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তাঁদেরও বয়স ছিল ত্রিশ থেকে চল্লিশের ঘরে। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনেও নেতৃত্বে ছিলেন ছাত্র-তরুণেরাই। সেই সময়ের রাজনৈতিক নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ১৪৪ ধারা ভাঙা হবে না। কিন্তু ছাত্ররা ১৪৪ ধারা কেবল ভাঙলেনই না; বুকের রক্ত দিয়ে ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠা করলেন।


উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানেও নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ছাত্র-তরুণেরা। ৪ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে ডাকসু, চারটি ছাত্রসংগঠন—যথাক্রমে ছাত্রলীগ, ছাত্র ইউনিয়ন (মতিয়া), ছাত্র ইউনিয়ন (মেনন) ও ন্যাশনাল স্টুডেন্ট ফ্রন্টের (এনএসএফ) একাংশ মিলে গঠিত হলো ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ। তাদের ঘোষিত ১১ দফাই পরে জাতীয় কর্মসূচিতে রূপ নেয়। আসাদ-মতিউরসহ অনেক তরুণের জীবনের বিনিময়ে গণ-অভ্যুত্থান হলো। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার ও বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিয়েও আইয়ুব খান গদি রক্ষা করতে পারেননি। উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান একাত্তরের পটভূমি তৈরি করে। 


স্বাধীনতার পর ছাত্র-তরুণেরা আরেকবার জেগে উঠেছিলেন আশির দশকে—স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে। রাজনৈতিক নেতৃত্ব মাঝেমধ্যে বিভক্তি ও আপসের চোরাগলিতে হাঁটলেও ছাত্রসমাজ এরশাদ শাসনের পুরোটা সময় আন্দোলন জিইয়ে রাখে।

১৯৮৩ সালে মজিদ খান শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে নিহত হন জাফর, জয়নাল, কাঞ্চন, দীপালি সাহা প্রমুখ। ১৯৯০ সালের অক্টোবরে ২৪টি ছাত্রসংগঠনের সমন্বয়ে গড়ে ওঠে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য। এরপর ছাত্র-তরুণ, বিরোধী রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সম্মিলিত গণ-অভ্যুত্থানে এরশাদ পদত্যাগে বাধ্য হন। এসবই ছিল ছাত্রদের গৌরবের সমাচার।


১৯৯০ থেকে ২০২২—এই ৩২ বছরে আশির দশকের ছাত্রনেতাদের কেউ কেউ মন্ত্রী ও এমপি হয়েছেন। আবার বিরোধী দলে থাকতে অনেকে জেল–জুলুম সহ্য করেছেন। পদ–পদবির জন্য তঁারা দলবদলও করেছেন। কিন্তু আশির দশকের সেই ছাত্রনেতৃত্ব জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারেননি। নব্বই-পরবর্তী জাতীয় রাজনীতির নিয়ন্ত্রকেরা ছাত্ররাজনীতিকে বিকশিত হতে দেননি, নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করেছেন। এই একটি ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে চমৎকার ঐক্য আছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও