কর আইনের সংস্কার কেন প্রয়োজন

কালের কণ্ঠ প্রকাশিত: ৩০ নভেম্বর ২০২২, ১০:১৪

বাংলাদেশের বিদ্যমান আয়কর অধ্যাদেশটি নতুন মলাটে আইন হিসেবে প্রমিতকরণের কাজ শেষ পর্যায়ে। রাজস্ব আইন সংস্কারের এ আয়োজন-উদ্যোগ সহসা সচকিত নয়, দীর্ঘদিন ধরে চলছে পরিকল্পনা আর প্রাজ্ঞ পরামর্শকদের প্রয়াস পারঙ্গমতা। রাজস্ব আইন সংস্কারের সব উদ্যোগের আগ্রহ অভিপ্রায়ে কোনো কমতি নেই, কিন্তু বিদ্যমান আইনে ‘শতেক শতাব্দী ধরে নামা শিরে অসম্মানভারের’ লাঘব প্রকৃত প্রস্তাবে ঘটছে কি না, সংস্কারকৃত আইন কতটা বাস্তবায়নসম্মত—আয়কর আহরণকারী এবং দাতার দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা এবং তার রূপকল্প ও তাৎপর্য তুলে ধরতেই এবারের আয়কর দিবসের প্রাক্কালে এই ভাবনা। প্রসঙ্গত যে এ বছর ২০২২ সালে ১৯২২ সালের ভারতীয় আয়কর আইনের শতবর্ষ, যে আইনটি বেনামে এখনো বাংলাদেশে অনুসৃত হচ্ছে।


১০০ বছরের আয়কর আইনের কাছে প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির খতিয়ান কষতে এবং তার ভিত্তিতে ভবিষ্যতের বাংলাদেশে আয়কর আইন সংস্কারের রূপরেখা সুপারিশ করতে ব্যবসায়ীদের থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশ গত ২৬ নভেম্বর একটি বিশেষ সেমিনারের আয়োজন করে।


সেমিনারে সর্বাগ্রে উঠে আসে শতবর্ষী ১৯২২ সালের আয়কর আইন, যার প্রথম ৫০ বছর ছিল ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ-ভারত এবং পাকিস্তান আমল। পরের ৫০ বছর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশে, সেখানে দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা উপেক্ষিতই শুধু থাকেনি, দিন দিন তা আরো জটিল হয়েছে। আমরা জানি যে চিন্তা থেকে যেমন কাজের উৎপত্তি, আইনের প্রয়োগ, তেমনি আইনের দৃষ্টিভঙ্গিভেদে বিভিন্ন রূপ পরিগ্রহ করে। যাঁরা আইন তৈরি করেন, তাঁদের সঙ্গে যাঁদের ওপর এটির প্রয়োগ হবে তাঁদের মধ্যকার সম্পর্কেরও একটা বিশেষ ভূমিকা আছে আইনের দৃষ্টিভঙ্গি নির্মাণে। এখানে তৃতীয় আরেক শরিকের কথাও এসে যায়, যাঁদের মাধ্যমে আইনটির প্রয়োগ হবে, তাঁদের মনোভাব, মনোভঙ্গি সক্ষমতা-অক্ষমতার ব্যাপারটিও বিশেষভাবে বিবেচ্য থেকে যায় আইনের প্রয়োগ তথা বাস্তবায়নযোগ্যতার ক্ষেত্রে। কেননা আইন প্রয়োগের দায়িত্ব আইনপ্রণেতার নয়, নির্বাহী বিভাগের। আইন পরিষদ যদি মনে করে এ আইন অন্যের জন্য, পরিষদ সদস্যদের ওপর সব সময় বা সমভাবে বর্তাবে না এবং নির্বাহী বিভাগও যদি ভাবে এ আইন নিজের ওপর ততটা নয় যতটা অন্যের ওপর প্রয়োগের জন্যই, তাহলে যাঁদের ওপর আইনের প্রয়োগ তাঁরা হয়ে পড়েন আইনপ্রণেতা ও প্রয়োগকারীর প্রতিপক্ষ। এই প্রতিপক্ষতার পরিবেশেই আইনের দৃষ্টিভঙ্গি হয়ে যায় নিবর্তনমূলক, প্রতিরোধাত্মক। এই প্রেক্ষাপটে আইন উপেক্ষার, অমান্যের ও অগ্রাহ্যের পরিবেশ সৃষ্টি হতে পারে।


আইন মানুষের জন্য, মানুষ আইনের জন্য নয়, মানুষের কল্যাণেই আইনের প্রয়োজন। মানুষ আগে, আইন পরে। আইন মানুষের মুক্তির জন্য, তাকে বন্দি বা বিব্রত করার জন্য নয়। মানুষের মৌলিক অধিকার আইনের আওতায় স্বীকৃত, নিশ্চিত, নির্ধারিত, নিবন্ধিত হয়ে থাকে। মানুষ তার চিন্তার, বিশ্বাসের, শরীরের, দেহের, চলাচলের, সম্মানের ও মর্যাদার প্রতিষ্ঠা, বিকাশ ও নিরাপত্তা দাবি করতে পারে আইনের কাছে। আইন দৃষ্টিভঙ্গিতে সর্বজনীন এবং প্রয়োগে নিরপেক্ষ হওয়ার আবশ্যকতা অনস্বীকার্য। যে আইন যত সর্বজনগ্রাহ্য, সর্বজনমান্য, সর্বজনবোধ্য, সর্বজন অনুসৃতব্য—সেই আইন তত কল্যাণকর, সেই আইন তত কার্যকর।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও