কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

লাভের গুড় কে খায়

দেশ রূপান্তর রাজেকুজ্জামান রতন প্রকাশিত: ২১ নভেম্বর ২০২২, ০৯:০০

বাংলার শব্দভাণ্ডারে নানা শব্দ, বাক্য আর প্রবাদ আছে, যা বর্তমানের সঙ্গে দারুণভাবে মিলে যায়। যদিও সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এসব কথার তাৎপর্য এবং তীব্রতা কিছুটা পাল্টেছে কিন্তু যে প্রবণতার কথা বলতে এসব প্রবাদ তা প্রায় একই রকম আছে। অনেক কায়দা-কানুন করে গুড়ের ব্যবসায়ী লাভ করার পর অবহেলা আর অমনোযোগিতার ফলে পিঁপড়া গুড় খেয়ে ফেললে যে হাহাকার তৈরি হয় সেখান থেকে ‘লাভের গুড় পিঁপড়ায় খায়’ এই প্রবাদের প্রচলন হয়ে থাকতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশে ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের পরিমাণের কথা ভাবলে প্রবাদবাক্যটি যে নতুন রূপে, নতুন শক্তিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা বোঝা যায়। তবে এ ক্ষেত্রে একটা বড় পার্থক্য হয়ে গেছে, পিঁপড়ার মতো ক্ষুদ্র প্রাণীরা এখন আর লাভের গুড় খেতে পারে না, খায় বিশাল ক্ষমতার অধিকারীরা। 


ব্যাংকের ব্যবসা কী? ব্যাংক লাভ করে কীভাবে? মানুষ ব্যাংকে টাকা জমা রাখেন, আবার ব্যাংক মানুষকে ঋণ দেয়। ব্যাংক অর্থ সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে যে হারে সুদ দেয়, ঋণ দিলে গ্রাহকদের কাছ থেকে স্বাভাবিকভাবেই তার থেকে বেশি হারে সুদ নিয়ে থাকে। এই দুই সুদের হারের পার্থক্যের ওপরই ব্যাংকিং ব্যবসা টিকে থাকে।


কিন্তু ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে গ্রহীতা যদি ঋণ ফেরত না দেয় এবং বছরের পর বছর খেলাপি হতে থাকে, তাহলে আমানত হারিয়ে ব্যাংকিং ব্যবসায় লালবাতি জ্বলতে বাধ্য। ব্যবসা করতে গেলে টাকা আটকে থাকা স্বাভাবিক। কিন্তু কতদূর পর্যন্ত তার সহনীয় মাত্রা? ধরা হয় এটা ৩ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশে এটা ৯ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। যেকোনো বিবেচনাতেই এটা অস্বাভাবিক। কিন্তু যারা ঋণখেলাপি তাদের অজুহাতের অভাব নেই। এখন খেলাপি ঋণের জন্য ‘দুষ্ট ঋণগ্রহীতারা’ করোনা মহামারী ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে অজুহাত হিসেবে খাড়া করলেও এর আগের হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ কেন খেলাপি হয়েছিল তার কোনো ব্যাখ্যা নেই। 


হিসেবে দেখা যাচ্ছে, জ্যামিতিক হারে খেলাপি ঋণ বেড়ে চলেছে। ১৯৯০ সালে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৪ হাজার ৬৪৬ কোটি টাকা, তিরিশ বছর পর নানা উন্নয়নের পথপরিক্রমার পর ২০২২ সালে তার পরিমাণ এসে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৩৯৬ কোটি টাকা। সময়ের বিবেচনায় সবচেয়ে বেশি খেলাপি ঋণ হয়েছে গত ১৪ বছরে অর্থাৎ এ সময়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সময়কালে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও