অনলাইন-অফলাইন বুলিংয়ের ক্ষতিকর প্রভাব ও প্রতিকার
পৃথিবীতে এমনিতেই অপরাধের শেষ নেই। তার ওপর এই শতাব্দীতে যোগ হয়েছে অনলাইন অপরাধ। আর অফলাইন তো আছেই। এরমধ্যে বর্তমান সময়ে সাইবার বুলিং একটি বহুল সংঘটিত অপরাধ। বুলিং বলতে আমরা বুঝি দুজন ব্যক্তির মধ্যে বিবাদের জের ধরে একজন ব্যক্তিকে সুনির্দিষ্টভাবে দোষারোপ বা খারাপ ভাষায় আক্রমণ করা। এই আক্রমণ মৌখিক আবার লিখিতও হতে পারে। আবার একজনের ছবি বা ভিডিও বিকৃত করে অনলাইনে তুলে ধরাও বুলিংয়ের মধ্যে পড়ে। কেউ আপনাকে হেয় করে সোশাল মিডিয়ায় কটূক্তি করা, এমনকি বর্ণবৈষম্যমূলক মন্তব্য করলেও সেটিও বুলিংয়ের আওতায় পড়ে। সহজ ভাষায় বলা যায়, ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে কারও ব্যক্তিগত দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে হেয় করা, ভয় দেখানো বা মানসিক নির্যাতন বা অন্যায় কোনও কিছুতে প্রলুব্ধ করা বা বাজে কোনও মন্তব্য করাই হলো সাইবার বুলিং বা সাইবার অপরাধ।
অনলাইন ছাড়াও নানাভাবে অফলাইনেও এমন অপরাধ সংঘটিত হয়। যেমন, আপনি যে অপরাধের সঙ্গে জড়িত নয় অথচ তেমন মিথ্যা অভিযোগ বা কটূক্তি করে লিখিত অথবা মৌখিকভাবে বলে বেড়ানোও একটি অপরাধ। তবে এসব অপরাধ দমনে প্রচলিত আইন রয়েছে দেশে। দরকার শুধু সচেতন থাকা এবং সীমা ছাড়িয়ে যাওয়ার আগেই প্রয়োজনে আইনের আশ্রয় নেওয়া।
অনলাইন-অফলাইন হয়রানি বা সাইবার বুলিংয়ের কারণে অনেকেরই মানসিক স্বাস্থ্য মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই ক্ষতি কখনও কখনও ভয়াবহ আকার ধারণ করে। চূড়ান্ত পরিণতিতে হতাশা সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়ার মতো ঘটনাও আছে পৃথিবীতে ভূরি ভূরি। আপনি জীবনে কোনোদিন কোনও অপকর্মের সঙ্গে নিজেকে জড়াননি অথচ আপনার নামে অনলাইনে সোশাল মিডিয়ায়, মৌখিকভাবে আপনার শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছে কিংবা লিখিতভাবেও কোথাও আপনার নামে মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হলো, তখন প্রাথমিক অবস্থায় আপনার মানসিক স্বাস্থ্য কী হতে পারে? আপনি যত দৃঢ়চেতা মনোবলসম্পন্ন মানুষ হন না কেন প্রাথমিক অবস্থায় আপনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়তে বাধ্য।
- ট্যাগ:
- মতামত
- সাইবার বুলিং