কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

জিতবে কারা

www.ajkerpatrika.com সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী প্রকাশিত: ০২ নভেম্বর ২০২২, ১১:১৩

একটা নির্বাচন তো মনে হয় ঘনিয়ে এসেছে, ২০২৪ সালের জানুয়ারিতেই হবে বলে ধারণা। নির্বাচনে কে জিতবে, কীভাবে জিতবে—তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা আছে; কিন্তু যে দলই জিতুক, এটা নিশ্চিত যে হেরে যাবে জনগণ। নির্বাচন শেষ হতে না হতেই তারা জেনে যাবে যে তারা হেরে গেছে। ঘটনাটা নতুন নয়। খুব বড়, একেবারে ঐতিহাসিক দুটি নির্বাচনের অভিজ্ঞতা এ দেশের জনগণের আছে, একটি ১৯৪৬ ও অপরটি ১৯৭০ সালের; দুটিতেই জনগণের মনে হয়েছিল যে তারা জিতেছে, ভেবেছিল তাদের মুক্তি আসবে। কিন্তু অচিরেই দেখা গেল মুক্তি আসেনি। তারা হেরে গেছে। ছেচল্লিশের ঠিক আগে অখণ্ড বাংলায় একটা প্রায়-বিপ্লবী পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, নির্বাচন দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে, তাতে সাফল্য যে আসেনি, তা নয়। নির্বাচন হয়েছে, বিশ্বাসযোগ্য। কিন্তু তারপরই দাঙ্গা, একটু পরে দেশভাগ। আর উনসত্তরে তো একটা অভ্যুত্থানই ঘটেছিল।


গ্রামের মানুষ জেগে উঠেছিল। থরথর করে কাঁপছিল সমগ্র পূর্ব পাকিস্তান। মনে হয়েছিল বিপ্লব ঘটবে। সন্ত্রস্ত শাসকেরা প্রশমন চেয়েছেন, তাঁরা নির্বাচন দিয়েছেন, দ্রুতগতিতে। এ নির্বাচনও বিশ্বাসযোগ্য ছিল। কিন্তু এবারের পরিণতি দাঁড়াল আরও ভয়ংকর; দাঙ্গা নয়, সামনাসামনি যুদ্ধ। সেবার দেশ দ্বিখণ্ডিত হয়েছে, এবার রাষ্ট্র ভাঙল। কিন্তু জনগণের মুক্তি এল না। এবারও তারা হেরে গেল। হারল যে সেটা কার কাছে? হারল ব্যবস্থার কাছে। ব্যবস্থাটা পুঁজিবাদী। ১৯৪৬ সালের পরে পুঁজিবাদ বিকাশের নতুন পথ পেল, ১৯৭১ সালের পরে পুঁজিবাদ তার বিকাশের পথটাকে আরও প্রশস্ত করে নিল; এখন তো তার অগ্রযাত্রা পুরোপুরি অপ্রতিহত।


কিন্তু এ রকমই কি চলবে? জনগণ কী কেবল হারতেই থাকবে? হারার কোনো শেষ থাকবে না? না; তা হবে না। জনগণ জিতবে। আগামী নির্বাচনে যে জিতবে না, এটা নিশ্চিত, আগামী দশকেও জিতবে না। কিন্তু জিতবেই জিতবে। ব্যবস্থাটা অবশ্যই বদলাবে। কবে এবং কীভাবে, প্রশ্ন শুধু সেটাই।


এই আশাবাদের কারণ কী? কারণ একাধিক। প্রথম কারণ সুবিধাবঞ্চিত মানুষের সংখ্যা অনেক, তারাই ৯০ জন; তাদের তুলনায় সুবিধাভোগীর সংখ্যা খুবই কম, শতকরা ১০ জন। হ্যাঁ, এই ৯০ জন আগেও ছিল। কিন্তু তারা আগে এতটা বিক্ষুব্ধ ছিল না। বিক্ষোভের সঙ্গে মিলেছে সচেতনতা। আর এই বিক্ষোভ ও সচেতনতা কোনো এক দেশের মানুষের নয়, এটি এখন বিশ্বময়। সারা বিশ্বের বঞ্চিত, অত্যাচারিত মানুষ পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে লড়ছে। লড়াইটা চলছে প্রতিটি দেশের অভ্যন্তরে। কোনো দেশের মানুষই সম্পদের ব্যক্তিমালিকানা আর চায় না, সামাজিক মালিকানা চায়। দমিয়ে দেওয়ার, দাবিয়ে রাখার চেষ্টা চলছে। চলবে। কিন্তু সেই চেষ্টা সফল হবে না। নদীর ওপর বাঁধটা টিকবে না, কারণ স্রোত প্রবল থেকে প্রবলতর হচ্ছে এবং প্রবল হতেই থাকবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও