বিশ্ব এক নতুন শি চিনপিংকে দেখবে

কালের কণ্ঠ গাজীউল হাসান খান প্রকাশিত: ০১ নভেম্বর ২০২২, ১৪:১০

বিভিন্ন ঐতিহাসিক বিবেচনায় চীনের সর্বপ্রাচীন এবং শ্রেষ্ঠ শিক্ষক, দার্শনিক ও রাজনৈতিক তাত্ত্বিক কনফুসিয়াসের মতে, ‘যারা জ্ঞান, সমৃদ্ধি ও সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যকে অগ্রসরমাণ রাখতে চায়, তাদের ক্রমাগতভাবে পরিবর্তিত হতে হবে। ’ ইগলের মতো শাণিত দৃষ্টি দিয়ে অবস্থা পর্যালোচনা করে যুগোপযোগী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অর্থাৎ একজন নেতার সঠিক চিন্তাধারা ও সিদ্ধান্তের ওপরই একটি জাতি এবং এমনকি বিশ্বনেতৃত্বের সাফল্যও বহুলাংশে নির্ভর করে। কনফুসিয়াসের জন্ম ৫৫০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে।


তাঁর কথা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেছেন মহান চীনের অসংখ্য সাম্রাজ্যের শাসকরা, যা আজও বলবৎ রয়েছে। চীনের বর্তমান শাসক শি চিনপিং গুরুশ্রেষ্ঠ কনফুসিয়াসের সেসব কালোত্তীর্ণ শিক্ষাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। চীনের কমিউনিস্ট বিপ্লবী ও গণপ্রজাতন্ত্রী চীন রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা মাও জেদংয়ের পর ৬৯ বছর বয়স্ক শি চিনপিংই হচ্ছেন দ্বিতীয় শক্তিশালী ও প্রতিভাবান নেতা, যিনি তৃতীয়বারের মতো চীনের ৯ কোটি ৬৮ লাখ সদস্যবিশিষ্ট কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন। শুধু দল ও দেশ নয়, চীনের প্রায় ৩০ লাখ সৈনিক, নাবিক ও বৈমানিক অধ্যুষিত প্রতিরক্ষা বাহিনী এখন তাঁর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে। সম্প্রতি চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে সমাপ্ত দলের ২০তম সপ্তাহব্যাপী সম্মেলন যেন ছিল শি চিনপিংয়ের একজন অপ্রতিদ্বন্দ্বী বিশ্বনেতা হয়ে ওঠার এক প্রামাণ্যচিত্র। এই নেতার প্রকৃত শি চিনপিং হয়ে ওঠার প্রক্রিয়া চীনের কমিউনিস্ট পার্টি আটকাতে পারেনি। আগে থেকেই তিনি চীনের সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শি বিভিন্ন বাহিনী থেকে তাঁর বিরোধীদের শক্ত হাতে দমন করতে সক্ষম হয়েছেন। তাই তৃতীয় মেয়াদের শুরুতেই প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং তাইওয়ানকে চীনের সঙ্গে যুক্ত করার জোর প্রচেষ্টা নেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।


সদ্যঃসমাপ্ত সম্মেলনে দুই হাজার ৩০০ প্রতিনিধির উপস্থিতিতে ২০৪৯ সালের মধ্যে চীনকে সব দিক থেকে বিশ্বের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত সংকল্প ব্যক্ত করেছেন এই ধীরস্থির স্বভাবের লড়াকু নেতা। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের বর্তমান সম্পর্ককে কেন্দ্র করে তিনি অবশ্যই একটি আগ্রাসী পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করবেন বলে বিশ্বের বেশির ভাগ সংবাদ বিশ্লেষক মনে করছেন। তা ছাড়া দক্ষিণ চীন সাগরে তাঁর বহুল আলোচিত ‘নাইন ড্যাসলাইন’ প্রতিষ্ঠা, ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি এবং তাইওয়ানের রাজনৈতিক অবস্থান নিশ্চিত করতে শি চিনপিং বিশেষ ব্যবস্থা নেবেন বলে মনে করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি আফ্রিকা ও ইউরোপ এশিয়াব্যাপী শি তাঁর ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ আরো বিস্তৃত করে চীনের প্রভাব শক্তিশালী করতে আরো বেশি আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও