খাদ্য আর জ্বালানি কিনতে না পারার চেয়ে বড় সংকট আর কী

প্রথম আলো মারুফ মল্লিক প্রকাশিত: ২৬ অক্টোবর ২০২২, ১০:৫৫

কেবল পরিসংখ্যান বা সূচক দিয়ে দুনিয়া চলে না। আবার সেই সূচক যদি হয় গোঁজামিলে ভরা, তাহলে তো কথাই নেই। সূচকের ভিত্তিতে সব চললে যোগ-বিয়োগ করে হিসাব মিলিয়ে নেওয়া যেত। কিন্তু বাস্তব জীবনের সঙ্গে হিসাবের অনেক ফারাক থাকে। রাষ্ট্র পরিচালনায় এই ফারাক শাসকেরা পরিকল্পিতভাবেই করে থাকেন। তাই আমাদের চারপাশে এ সংকট, ঝামেলা। এসব ঝামেলা বাস্তব জীবনের ভিত্তিতেই সমাধান করতে হয়। কেবল সূচকের দিকে তাকিয়ে থাকলে জীবনের হিসাব, রাষ্ট্রের হিসাব মিলে না।


দেশের বর্তমান অবস্থা বিবেচনা করলেই বিষয়টি আরও পরিষ্কার হবে। সাধারণ মানুষ খুব বেশি স্বস্তিতে নেই। দ্রব্যমূল্য আকাশ ছোঁয়া। ব্যয় নির্বাহ করতে হিমশিম খাচ্ছে। ব্যয়ের হিসাব কাটছাঁট করেও জনসাধারণের হাতে খাবার কেনার পর্যাপ্ত অর্থ থাকছে না। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির হিসাবে দেশের ৬৮ শতাংশ মানুষ যথাযথ পরিমাণ খাদ্য নিতে পারছে না। খাবার কিনতে অনেকে নিজেদের সম্পদ বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে। অনেকেই রাজধানী ছেড়ে গ্রামে চলে যাচ্ছে অতিরিক্ত খরচ সামাল দিতে না পেরে। বিশ্ব খাদ্য সংস্থার ওই জরিপে ৮৮ শতাংশ উত্তরদাতা জানিয়েছেন, গত ছয় মাসে খাদ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি বড় আঘাত হেনেছে তাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায়।


উন্নয়নের বিভিন্ন সূচক অনুসারে এমন পরিস্থিতি হওয়ার কথা নয়। আমাদের গত এক দশকের উন্নয়নের সূচকগুলো ঊর্ধ্বমুখী ছিল। সম্প্রতি আমাদের মাথাপিছু আয় আড়াই হাজার ডলার ছাড়িয়ে গেছে। অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২২-এর হিসাবে মাথাপিছু আয় এখন ২ হাজার ৮২৪ ডলার। জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ। দারিদ্র্যের হার ২০ দশমিক ৫ শতাংশ। চরম দরিদ্র ১০ দশমিক ৫ শতাংশ। চলতি মূল্যে জিডিপির পরিমাণ ৩৯ লাখ ৭৬ হাজার ৪৬২ কোটি টাকা। উন্নয়নের হুলুস্থুল কাণ্ড এই সূচকগুলোকেই সমর্থন করে। বড় বড় ব্রিজ, টানেল, রোড, বিদ্যুৎকেন্দ্র, হাসপাতাল, জেলায় জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, দুস্থ ব্যক্তিদের বাড়ি করে দেওয়া—কী নেই এ উন্নয়নের তালিকায়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও