কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বাজার তদারকিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়ন হবে?

দেশ রূপান্তর এস এম নাজের হোসাইন প্রকাশিত: ২৬ অক্টোবর ২০২২, ১০:৪৬

সম্প্রতি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনা নিত্যপণ্যের বাজারদর বিশেষ করে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্টদের বাজার তদারকি বা নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা আরও জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন। দেশের শাসনব্যবস্থায় এখন কোনো কিছুই প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিগোছর ছাড়া হয় না। যদিও প্রশাসনিক কর্মবণ্টন ব্যবস্থায় সবকিছু উল্লেখ আছে, তারপরও প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসনের জন্য অপেক্ষা করতে হয়।


করোনা মহামারীর পর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে গোটা বিশ্বের অর্থনীতি ও বাজার ব্যবস্থা টালমাটাল। বাংলাদেশে সবকিছু বিশ্ববাজারের ওপর নির্ভরশীল না হলেও পরিস্থিতি আমাদের দেশের ব্যবসায়ীরা সে পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। ফলে পণ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির আগুনে পুড়তেই হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তার প্রধান উপকরণ চালের বাজার দীর্ঘসময় ধরেই অস্থির। দরিদ্র ও সাধারণ মানুষের খাদ্য নিরাপত্তায় বহুল ব্যবহৃত আরেক খাদ্যপণ্য আটারও একই অবস্থা। এ দুটি খাদ্যপণ্যের দাম কোনোভাবেই কমছে না, বরং বেড়েই চলেছে। ফলে প্রান্তিক ও সাধারণ আয়ের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা ও জীবন-জীবিকা নির্বাহ দিন দিন কঠিন হয়ে উঠছে। ধানের উৎপাদন ভালো হয়েছে, সরকার নিজে খাদ্য আমদানি করেছে, বেসরকারিভাবে আমদানির অনুমতি প্রদান করায় খাদ্য মজুদও যথেষ্ট পরিমাণে আছে ফলে কোনো ঘাটতি হওয়ার কথা নয়; তবু চাল কিনতে মানুষ হিমশিম খাচ্ছে। এখানে উৎপাদন ও মজুদ নিয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঠিক তথ্যের ঘাটতি থাকতে পারে, হয়তো বাড়তি পরিসংখ্যান দেখানো হচ্ছে বা সিন্ডিকেট করে এই অস্থিরতা দীর্ঘায়িত করা হচ্ছে।


করোনা লকডডাউন পরবর্তী সময় থেকে আমাদের ব্যবসায়ীরা পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধি, বিশেষ করে জাহাজ ভাড়া বৃদ্ধির অজুহাতে দাম বাড়ানো শুরু করেন। এরপর এলো ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। এবার আন্তর্জাতিক বাজারে যুদ্ধের কারণে নিত্যপণ্যের দামবৃদ্ধির অজুহাতে আরেক দফা দাম বাড়ানো শুরু হয়। সর্বশেষ ডলার এবং জ¦ালানি তেলের দাম বৃদ্ধির অজুহাতে দাম আরেক দফা বাড়ানো হয়। রাশিয়া-ইউক্রেন থেকে গম ছাড়া আর কোন কোন পণ্য আমদানি করা হয় তার সুর্নিদিষ্ট পরিসংখ্যান নেই কিন্তু দাম বেড়েছে প্রায় সব নিত্যপণ্যের। কার্যত, লকডাউন পরবর্তী সময়ের জাহাজ ভাড়া এখন অর্ধেকে নেমে এলেও পণ্যের দাম কমানোর পরিবর্তে নতুন নতুন অজুহাতে তা আরও বাড়ছে। ১০ টাকার সাবান ১৫ টাকা, ৫০ টাকার ডিটারজেন্ট পাউডার ১০০ টাকা বাড়ানোর যুক্তি কী? কসমেটিকস উৎপাদনকারী কোম্পানির প্রতিনিধিরা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের গণশুনানিতে অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির প্রশ্নের জবাব দিতে ব্যর্থ হলেও দাম বাড়াতে দেশি-বিদেশি সবগুলো কোম্পানি একজোট। আবার সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধির অজুহাতে দেশে উৎপাদিত সরিষার তেলের দামও দ্বিগুণ। ব্যবসায়ীরা সুযোগকে হাতছাড়া করতে চান না। কয়েকদিন আগে দেশব্যাপী ব্ল্যাকআউটের সময় ঢাকায় ১০ টাকার মোমবাতি এক ঘণ্টার মধ্যেই ৩০-৫০ টাকায় ঠেকেছিল। ২০০ টাকার এনার্জি বাল্ব এখন ৫/৬০০ টাকা। ১৫০০ টাকার চার্জার ফ্যান ৩ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও