কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

তেইশ সালের আশঙ্কা ও প্রস্তুতি

দেশ রূপান্তর রাজেকুজ্জামান রতন প্রকাশিত: ২২ অক্টোবর ২০২২, ০৯:০৬

নির্বাচন নিয়ে উত্তেজনাপূর্ণ রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে একটা কথা উচ্চপর্যায় থেকে বারবার বলা হচ্ছে যে তেইশ সালের জন্য প্রস্তুত হোন। বাংলাদেশের জন্য সামনে কঠিন সময় আসছে। খাদ্য সংকট হবে, দ্রব্যমূল্য বাড়বে, বিশ্বব্যাপী অশান্তি সৃষ্টি হবে ইত্যাদি ইত্যাদি। সমাধান হিসেবে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, খরচ কমান, সাশ্রয়ী হোন, চাষাবাদে মনোযোগ দিন, বিকল্প জিনিস ব্যবহার করতে শিখুন আরও কত কি! কিন্তু সাধারণ মানুষ সাশ্রয় করবে কীভাবে? দ্রব্যমূল্য বাড়ছে কিন্তু তাদের আয় বাড়ছে না। মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির হিসাব আর জিডিপি বৃদ্ধির হিসাবে তো তাদের পকেটে টাকা আসছে না। ফলে বাধ্য হচ্ছেন তারা কম কিনতে, কম খেতে, কম বাইরে যেতে। এর আবার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে অর্থনীতিতে। মানুষ কম কিনলে বিক্রি হবে কম, ফলে উৎপাদন কমাতে হবে। উৎপাদন কমলে শ্রমিকের সংখ্যা কমাতে হবে, শ্রমিকের সংখ্যা কমালে বেকারের মিছিল দীর্ঘ হতে থাকবে। পুঁজিবাদের এ এক সমস্যার দুষ্টচক্র।


অর্থনৈতিক সংকট প্রসঙ্গে সম্প্রতি বিশ্বব্যাংক একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ‘বিশ্বে কি মন্দা’ আসন্ন শীর্ষক এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্ব অর্থনীতির তিন মূল চালিকাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও ইউরোপের অর্থনীতি দ্রুতগতি হারাচ্ছে। ফলে আগামী বছরে সামান্য আঘাতেও মন্দা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। বিশ্ব অর্থনীতি এখন যে অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে তাতে বিশ্বব্যাংকের আশঙ্কা বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর জন্য চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়াতে পারে। কারণ, আন্তর্জাতিক ঋণদাতা সংস্থাটি বলছে, সম্ভাব্য এই মন্দায় মারাত্মক পরিণতি ভোগ করবে মূলত উদীয়মান বাজার ও উন্নয়নশীল দেশগুলো। প্রতিবেদনে জাতিসংঘের অর্থনীতিবিদরা সতর্ক করেছেন, উন্নত দেশগুলোর মুদ্রানীতি ও রাজস্বনীতি বিশ্বকে ২০০৮ সালের আর্থিক সংকটের চেয়েও খারাপ অর্থনৈতিক মন্দায় ফেলতে পারে।


প্রতিবেদনে মন্দার কারণ বলে অভিমত ব্যক্ত করা হয়েছে এই বলে যে, সম্ভাব্য মন্দার কারণ হচ্ছে, উন্নত অর্থনীতিগুলোর খারাপ নীতিগত সিদ্ধান্ত, জলবায়ু পরিবর্তন, কভিড-১৯ মহামারী এবং ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বাড়তে থাকা সংকট। এবং তারা অনুমান করেছেন, বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির হার ২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ২০২৩ সালে কমে ২ দশমিক ২ শতাংশে গিয়ে দাঁড়াবে। ফলে ১৭ লাখ কোটি ডলার ঘাটতি দেখা দেবে, যা বিশ্বের আয়ের ২০ শতাংশের কাছাকাছি। এক-পঞ্চমাংশ ঘাটতি নিশ্চয়ই কোনো ছোট ব্যাপার নয়। সে কারণেই বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস বলেছেন, মন্দা এড়ানো অনেক দেশের পক্ষেই কঠিন হবে। এর পাশাপাশি জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়নবিষয়ক সম্মেলন সংস্থার (আঙ্কটাড) প্রধান রেবেকা গ্রিনস্প্যান এক বিবৃতিতে বলেছেন, বিশ্ব এখন মন্দার দ্বারপ্রান্তে এবং এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশগুলোও এ মন্দায় মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। রেবেকা বলেছেন, ‘আজ আমাদের সতর্ক করা দরকার যে আমরা একটি নীতি-প্ররোচিত বৈশ্বিক মন্দার দ্বারপ্রান্তে। আমাদের এখনো মন্দার প্রান্ত থেকে ফিরে আসার সময় আছে। কিছুই অনিবার্য নয়। আমাদের অবশ্যই পথ পরিবর্তন করতে হবে।’ তবে তিনি আবার এ কথাও বলেছেন, আসন্ন মন্দা এড়ানোর বিষয়টি পুরোপুরিভাবে নীতিগত ও রাজনৈতিক সদিচ্ছার ব্যাপার।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও