বেনজীর আহমেদকে যে প্রশ্ন করা যায়
নিষেধাজ্ঞার খড়্গ মাথায় নিয়েই অবসরে গেলেন পুলিশের সদ্য সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ। এদিক থেকে বেনজিরের বিদায় খুব বেশি সুখকর বলা যাবে না। তাঁর পূর্ববর্তী মহাপরিদর্শকদের কয়েকজন রাষ্ট্রদূত হিসাবে বিদেশে চাকরি করেছেন। নিষেধাজ্ঞার কারণে বেনজীরকে এ ধরনের নিয়োগ দেওয়া সরকারের জন্য কঠিন হবে। আবার দেশের ভেতরেও তাঁকে চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া সহজ হবে না। কোনো প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দেওয়া হলে আন্তর্জাতিক যোগাযোগের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হতে পারে নিষেধাজ্ঞার কারণে।
প্রশ্ন হচ্ছে, সরকারের পক্ষ নিয়ে বিরোধী মতের ওপর কঠোর অবস্থান গ্রহণ এবং গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত বেনজীর আহমেদের ভাগ্যে রইল কী? তিনি এখন আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগে যোগদান করতে পারেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ কি নিষেধাজ্ঞার দায়ভার নিজেদের কাঁধ নিবে? যদি না নেয় তবে আপাতত সরকারি নিরাপত্তার ঘেরাটোপে জীবনযাপন করাই বেনজীরের নিয়তি। কারণ আলোচিত, সমালোচিত, বিতর্কিত ও নিন্দিত এই পুলিশ কর্মকর্তার অবসরকালীন সময়ে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হয়েছে সরকারকে। পুলিশের একটি গাড়ি ও সাদা পোশাকের ছয়জন পুলিশ তাকে নিরাপত্তা দেবে বলে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে। এ ছাড়াও তিনি দুজন সশস্ত্র পুলিশ ও বাড়িতে তিনজন পুলিশের নিরাপত্তা পাবেন।
- ট্যাগ:
- মতামত
- মার্কিন নিষেধাজ্ঞা
- বেনজীর আহমেদ