কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

সুষ্ঠু আয়োজন এবং সুষ্ঠু নির্বাচন

দেশ রূপান্তর রাজেকুজ্জামান রতন প্রকাশিত: ০৮ অক্টোবর ২০২২, ১১:২৩

আন্দোলনের মাঠ গরম হয়ে উঠছে আর আলোচনা সরগরম হয়ে উঠছে নির্বাচন নিয়ে। স্বাভাবিকভাবে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা শুরু হলেই শুরু হয়ে যায় নির্বাচনে কারচুপির আশঙ্কা। আর এ ক্ষেত্রে সামনে চলে আসে নির্বাচন কারা পরিচালনা করবেন সেই প্রশ্ন। কারণ অতীতের অভিজ্ঞতা তো সুখকর নয়। নির্বাচনকালীন সরকার কেমন হবে, নির্বাচনে প্রশাসন ও পুলিশের ভূমিকা কী হবে এসব প্রশ্ন তো আছেই, এর সঙ্গে এবার বিতর্কের কেন্দ্র হয়ে দাঁড়িয়েছে ইভিএম। ইভিএম কারা চায় এবং কেন চায় আর কারা চায় না এবং তারা কেন চায় না এই প্রশ্নে যন্ত্র যতটা গুরুত্বপূর্ণ তার চেয়েও বেশি সংকট ব্যবস্থাপনা নিয়ে। সেটা ব্যালটে বা ইভিএম যেভাবেই ভোটগ্রহণ হোক না কেন? 


নির্বাচন পরিচালনার জন্য প্রতিটি জেলায় একজন রিটার্নিং কর্মকর্তা দায়িত্ব পান। দীর্ঘকালের ধারাবাহিকতায় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক (ডিসি) তার জেলার সব নির্বাচনী এলাকার জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে থাকেন। আবার ঢাকা, চট্টগ্রামের মতো বড় বিভাগীয় শহরে নির্বাচনী এলাকাগুলোয় বিভাগীয় কর্মকর্তাকে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়। জাতীয় সংসদের শূন্য আসনে উপনির্বাচনসহ সিটি করপোরেশনগুলোর নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদেরই রিটার্নিং কর্মকর্তা করা হয়ে থাকে। জেলা প্রশাসকরা সাধারণত ক্ষমতাসীন দলের আস্থাভাজন তাই প্রস্তাব এসেছে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের মধ্য থেকেই রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ করার। ধারণা করা হচ্ছে কমিশনের কর্মকর্তারা স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের আওতায় থেকে নিরপেক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। কথায় যুক্তি আছে, জনগণ চায় সুষ্ঠু নির্বাচন আর নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালন। সুতরাং, রিটার্নিং কর্মকর্তা তাদেরই করা হোক যারা সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্তরায় সৃষ্টি করবেন না।


নির্বাচন-সংক্রান্ত আইনে নির্বাচন কমিশনের হাতে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন নামক একটি বহু প্রাতিষ্ঠানিক কর্মযজ্ঞ সম্পন্ন করতে কোন কর্মকর্তা কীভাবে দায়িত্ব পালন করবেন তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচনী এই কাজে পুলিশ, সামরিক বাহিনী ছাড়াও সরকারের বিভিন্ন দপ্তর, এমনকি বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা ও শিক্ষকরা প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও পোলিং কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেন।


জেলায় যে রিটার্নিং কর্মকর্তা তার ক্ষমতার উৎস কী? তাদের ক্ষমতার পরিধি নির্ধারণ করে নির্বাচন-সংক্রান্ত আইন, পরিচালনা বিধিমালা ও আচরণ বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। কিন্তু আইন ও বিধি প্রণয়ন করা থাকলেই যে তা কার্যকর হয় না এ অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের চেয়ে বেশি আর কোন দেশের মানুষের আছে? ফলে আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগের জন্য মানসিকতার পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা ও স্বীয় পর্যাপ্ত জনবল এবং অবকাঠামোর প্রয়োজনীয়তা কোনোভাবেই কম নয়। প্রতিষ্ঠানের ব্যাপ্তি আর সক্ষমতাই কি নির্বাচন নিরপেক্ষ করার জন্য প্রধান বিষয়? মনে হয় না। কারণ ভারতে শ-তিনেক জনবলের একটি নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করে থাকেন। নির্বাচনের সময় কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের কর্মকর্তাদের দিয়ে নির্বাচন কমিশন কাজ করিয়ে নেয়। বাংলাদেশে নির্বাচন কমিশনের জনবলকাঠামো এরই মধ্যে সাত হাজারের কাছাকাছি হয়েছে এবং তা আরও বাড়ানোর প্রস্তাব আছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও