'আপা, জীবনের সদকা দিয়ে দিয়েন'
"বডিডাবল ছাড়া সার্কাসের মঞ্চে টানানো ৬০ ফুট উঁচু ওপর দিয়ে হেঁটেছি। দড়ি ধরে ঝুলে থাকা, দড়ি ধরে ওপর-নিচে নেমে আসা, হাতির ওপর পতাকা নিয়ে চক্কর দেওয়া- প্রতিটি মুহূর্তই ছিল ঝুঁকিপূর্ণ। এসব দৃশ্যধারণের পর ইউনিটের লোকদের কাছ থেকে শুনতে হয়েছিল, 'আপা, জীবনের সদকা দিয়ে দিয়েন। এভাবে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ছাড়া কেউ শুটিং করে না। যে কোনো মুহূর্তে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত!' তারপরও আমি সেই চ্যালেঞ্জ নিয়েছি।"
এক নিঃশ্বাসে কথাগুলো বললেন জয়া আহসান। এই কথায় প্রতীয়মান হয়, জয়ার সবচেয়ে বড় গুণ হলো সাহস। এই সাহসের কারণে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ নিচ্ছেন; নিজেকে ভাঙছেন, গড়ছেন। নিজের কমফোর্ট জোন তৈরি করতে তাঁর ব্যাপক অনীহা। এবারে জয়া হাজির হচ্ছেন সার্কাসকন্যা বিউটি রূপে। আগামীকাল মুক্তি পাবে মাহমুদ দিদার পরিচালিত 'বিউটি সার্কাস'। প্রায় দেড় বছর পর দেশের প্রেক্ষাগৃহে তাঁর নতুন ছবি মুক্তি পাচ্ছে। এ জন্য তিনি আনন্দিত। জয়া বললেন, 'বরাবরই আমি নতুন নির্মাতাদের সঙ্গে থাকার চেষ্টা করি, যা আমার ক্যারিয়ার গ্রাফ দেখলেই আপনারা মেলাতে পারবেন। দিদার অসাধারণ একজন আইডিয়াবাজ। আমি ওর প্রথম কাজ, দ্বিতীয় কাজ বা প্রথম সিনেমায়ও যুক্ত হয়েছি তার অসাধারণ আইডিয়ার জন্য।'
'বিউটি সার্কাস' মুক্তি উপলক্ষে আশ্বিনের এক সন্ধ্যায় সমকালের সঙ্গে আড্ডায় মেতেছিলেন দুই বাংলার অপরাজিতা জয়া। শুরুতে জানালেন, চার বছর আগে মাহমুদ দিদারের কাছ থেকে এই ছবির প্রস্তাব পেয়ে কিছুটা চমকেই গিয়েছিলেন তিনি। কারণ, সিনেমার বিউটি চরিত্রে অভিনয় করতে হবে। মেয়েটি যেহেতু একজন সার্কাসকন্যা; সার্কাসের অসাধারণ সব খেলা তার নখদর্পণে, যা বডিডাবল দিয়ে করলে ঠিক হবে না। তাই জয়া ঠিক করলেন, চরিত্রটির জন্য তিনি ঝুঁকি নেবেন। যেমন কথা তেমন কাজ। শুরু করলেন সিনেমাটির কাজ।