বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে

কালের কণ্ঠ জয়ন্ত ঘোষাল প্রকাশিত: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৯:৩৩

এবার উজবেকিস্তানে সাংহাই কো-অপারেশনের বৈঠকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে সাক্ষী রেখে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সর্বসমক্ষে বলেছেন, খুব দ্রুত সাংহাই কো-অপারেশনের সদস্যদের উচিত প্রত্যেককে প্রতিটি সীমান্তের ট্রানজিট রাইট দেওয়া। তা না হলে ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নতিটা হবে কী করে?


পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শুনেছেন, কোনো উত্তর দেননি। উত্তর দেওয়ার প্রথাও নেই। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বোঝাতে চেয়েছেন, ভারত থেকে আফগানিস্তানে অথবা এশিয়ার একটা বড় অংশ ভারতে ব্যবসা করতে গেলে প্রয়োজন সরাসরি আফগানিস্তান থেকে ঢুকে সেসব দেশে পৌঁছানো। কিন্তু পাকিস্তান যদি সে সুযোগ না দেয়, তাহলে কিভাবে একটা দেশ আরেকটা দেশের সঙ্গে তাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের ঐক্য গড়ে তুলবে?


কাজেই সেন্ট্রাল এশিয়ার বাজার পেতে গেলে এই অধিকার পাওয়া জরুরি বলে মনে করছে ভারত। ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনার শুরুতে সদ্য অনুষ্ঠিত এই এসসিও বৈঠকের অবতারণা কেন করলাম? কারণ একটাই, পাকিস্তান যখন ভারতের সঙ্গে এ ব্যাপারে সহযোগিতা করছে না বা ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্ক যুযুধান দুই পক্ষ, সে সময় বাংলাদেশ কিন্তু ভারতের সঙ্গে এই ট্রানজিটের সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। ভারত এখন চট্টগ্রাম পর্যন্ত তাদের বাণিজ্যটাকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর মাধ্যমে বিস্তার করার সুযোগ পাচ্ছে। আবার বাংলাদেশও চট্টগ্রামে তার পরিকাঠামোগত উন্নয়ন দ্রুত সাধন করছে, যাতে বাংলাদেশেরও বাণিজ্যিক ক্ষমতা অনেকটা বেড়ে যায়। চট্টগ্রাম বন্দরকে ব্যবহার করে ভারতের পণ্য পরিবহনের এই ট্রানজিট ব্যবস্থাকে এখন দুই দেশের সরকারের তরফ থেকেও অভিহিত করা হচ্ছে ট্রান্সশিপমেন্ট কিংবা কানেক্টিভিটি নামে।


প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন ঢাকায় গিয়েছিলেন তখনই ভারত কর্তৃক চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্রবন্দর ব্যবহারের ব্যাপারে একটা সমঝোতা স্মারক হয়েছিল এবং উপকূলীয় জাহাজ চলাচল চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এটা কার্যকর হয়েছে। আবার চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরে জাহাজ ও পণ্যসামগ্রী হ্যান্ডলিংয়ের বাড়তি চাপ নেওয়ার মতো যে সক্ষমতা, সেটাও এর ফলে দ্রুত বাড়ানোর প্রয়াস বাংলাদেশের সরকারের দিক থেকে তৈরি হয়েছে। অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা দ্রুত দূর করার চেষ্টা হচ্ছে। শেখ হাসিনার শাসনকালেই দীর্ঘদিন পর স্থল সীমানা চুক্তি কার্যকর হয়েছে। বাংলাদেশ-ভারত সীমানা নির্ধারিত হয়েছিল। দুই দেশের মধ্যে যেসব ছিটমহল ছিল, তা ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ভাগ হয়েছে। এগুলো শেখ হাসিনা সরকারেরও একটা বড় সাফল্য।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও