শিশুশিক্ষা বনাম শৈশব
বাচ্চাটা রোজ কাঁদতে কাঁদতে স্কুলে যায় মায়ের সঙ্গে। দেখে নানা কথা ভাবি। কখনো মনে হয়, হয়তো স্কুল ভালো লাগে না তার। কখনো মনে হয়, হয়তো সকালে ঘুম ভাঙে না। আরেকটু ঘুমোতে চায়। হয়তো কখনো শরীরও খারাপ লাগতে পারে। ভালো করে হয়তো বলতেও পারে না। বললেও মা মনে করেন, সবটাই স্কুলে না যাওয়ার উছিলা। ওইটুকু ৪+ বয়সের বাচ্চার একটাই প্রতিবাদের ভাষা-কান্না। আর তার একটাই মানে-কাজটা তার পছন্দ নয়।
বিদেশে দেখেছি, স্কুলে যাওয়ার জন্য বাচ্চারা উদগ্রীব থাকে। স্কুল মানে কিন্ডারগার্টেনের কথা বলছি। ৩/৪+ থেকে শুরু হয় ওদের স্কুলিং। কী শেখে ওরা এইটুকু বয়সে? কী শেখানো উচিত? কেমন করে শেখানো উচিত? পুঁথি-পুস্তকের সাহায্যে, না খেলাধুলার মাধ্যমে? নাকি আঁকিবুঁকির মাধ্যমে? নাকি আকর্ষণীয় ও অর্থবহ রূপকথার গল্প বলার মাধ্যমে? আমরা তো সেটাই জানি না। আমরা জানি শিশুশিক্ষার নামে ওদের ঘাড়ে বিচিত্র বই চাপিয়ে প্রতিদিনের বিকাশমান জগৎকে জোরজবরদস্তির মাধ্যমে বিস্বাদ করে তুলতে। জানি ওদের বিমল শৈশবকে মূঢ়তার সঙ্গে অকাতরে তেতো করে দিতে। দেখেশুনেই বলছি।
- ট্যাগ:
- মতামত
- শিশুশিক্ষা
- শৈশব
- শৈশব কাল