বিএনপিকে ধরেবেঁধে নির্বাচনে না আনুন, অন্তত ‘ধরাবাঁধাটা’ ঠেকান

প্রথম আলো সোহরাব হাসান প্রকাশিত: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১০:৫৮

যাঁরা মনে করেন, কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে সাবেক নূরুল হুদা কমিশনের কোনো ফারাক নেই, তাঁদের সঙ্গে দ্বিমত করছি। প্রথম কারণ, নূরুল হুদা কমিশন সরকারের ইচ্ছাপূরণ নির্বাচন করেছে ২০১৮ সালে। অর্থাৎ তারা পরীক্ষায় ডাহা ফেল করেছে। বর্তমান কমিশন এখনো পরীক্ষার প্রস্তুতিতে আছে। তা-ই এখনই চূড়ান্ত রায় দেওয়া যাচ্ছে না।


সাবেক নির্বাচন কমিশন, তথা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কথাবার্তায় মনে হতো, তাঁরা সরকারের ইচ্ছাপূরণের নির্বাচন করার জন্যই এসেছেন; যদিও এই পাঁচ কমিশনারের একজন—মাহবুব তালুকদার সত্য বলতে দ্বিধা করতেন না। বর্তমান ইসির কর্তাব্যক্তিরা মাঝেমধ্যে সত্য কথা বলার চেষ্টা করেন। তাঁদের কর্মকাণ্ড এখনো বৈঠক, আলোচনা, মতবিনিময় ও সংবাদ সম্মেলনে সীমিত।


নির্বাচনের অংশীজন কিংবা জনগণের ভাবনা নিয়ে নূরুল হুদা কমিশনের কোনো মাথাব্যথা ছিল না। তারা নির্বাচন নিয়ে কোনো সংকট ছিল, সে কথা স্বীকারই করতে চায়নি। বর্তমান সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল আভাসে-ইঙ্গিতে বলার চেষ্টা করছেন, নির্বাচন নিয়ে দেশে একটি সংকট চলছে। কিন্তু তিনি বা তাঁর সহকর্মীরা বুঝতে পারছেন না, কীভাবে সেই সংকট কাটাবেন।


সবকিছু মিলে ইসির মধ্যে যে একধরনের অস্থিরতা চলছে, তা তাঁদের বক্তৃতা-বিবৃতি থেকে বোঝাই যায়। প্রশ্ন উঠেছে, সংবিধান ইসিকে যে অবাধ ক্ষমতা দিয়েছে, তা কি এর পদাধিকারীরা প্রয়োগ করতে পারবেন, না অন্য কারও ইচ্ছাপূরণের সহযাত্রী হবেন? ইসি কতটা নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে, এর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলো তাদের সেই কাজকে অংশীজন, তথা জনগণ কীভাবে নিচ্ছেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও