প্রহরীবিহীন সংস্কৃতি: অরক্ষিত সমাজ
দেশে অর্থনৈতিক উন্নয়ন দৃশ্যমান। গতবার দেশে গিয়ে চোখে ধাঁধা লাগার মতো অবস্থা। যেদিকে তাকাই দেখি উড়াল পুল, বড় বড় দালান। আকাশে মাথা উঁচু করা সেসব দালানকোঠার ভিড়ে নীল আকাশের দেখা পাওয়াই কঠিন। উধাও আকাশ, উধাও হাওয়া। এর ফাঁকেই হারিয়ে গেছে সংস্কৃতি। মনে হতে পারে ভুল বলছি। কিন্তু একটু ভালো করে ভাবুন তো আসলেই কি আমাদের গান-বাজনা, কবিতা, গল্প আগের জায়গায় আছে? সমাজ কোথায় বা কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে তার দর্পণ সংস্কৃতি। সেদিকে তাকালে কি ভরসা পাই আমরা?
রবীন্দ্রনাথের মতো বাঙালিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে তারুণ্য। কোনো প্রমাণ বা উপাত্ত ছাড়াই বলা হয় তিনি নাকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করেছিলেন। এ কারণটি অজুহাত মাত্র। ঠিক একইভাবে কাজী নজরুলকে ওপরে ভালোবাসলেও তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভ আছে ভেতরে। যে কারণে নতুন প্রজন্মে তাঁরা উভয়েই এখন আছেন, আবার নেই। চর্চা বিষয়টা যে ধারাবাহিক এবং নিরন্তর, সেটাই ভুলে যাচ্ছি আমরা। এ কারণেই হিরো আলমের উদ্ভব। এ কারণেই সে এখন হিরো! আজকাল গানের জগৎ কাদের দখলে, সেটাও আমরা জানি। আপনার হাতে টিভি বা মিডিয়া থাকলেই হলো। আপনি গান গান না ‘গান’ ফায়ার করেন, সেটা বিষয় না। আপনি যা খুশি তা-ই করতে পারেন। এ বিষয়গুলো এখন সবাই জানেন এবং মানতে বাধ্য হন।