পাহাড়ি নদী তিস্তা: এবারও কিছু হলো না!
ঐ পাহাড়ি মেয়ে বা নদীটির জন্ম হয়েছে উত্তর সিকিমের হিমালয় পর্বতমালায়। হিমালয়ের পাউহুনরি, জেমু হিমবাহ, গুরুদোংমার হ্রদ ও ছো লামো হ্রদ থেকে ওর জন্ম। প্রায় ৪, ৪৮০ বর্গ কিলোমিটার দীর্ঘ এই নদীটি ভারতের সিকিম ও পশ্চিম বাংলা হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে আর সবশেষে মিশেছে বঙ্গোপসাগরের মোহনায়।
তার খরস্রোতা, পাহাড়ি পথে এই হিমালয় দুহিতা ভারতের মঙ্গন, গ্যাংটক, প্যাকিয়ং, কালিম্পং, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কুচবিহার জেলা পার হয়ে আমাদের রংপুর জেলার দহগ্রাম ছুঁয়ে লালমনিরহাট শহর হয়ে নীলফামারি জেলা পার হয়েছে আর গাইবান্ধার ফুলছড়ি এবং কুড়িগ্রাম জেলায় এসে হয়ে উঠেছে একান্তই বাংলাদেশের 'তিস্তা।
'তিস্তার বন্দনা তাই আমরা পাই ওপারের ঔপন্যাসিক দেবেশ রায় বা এপারের কথাশিল্পী ও নাট্যকার সৈয়দ শামসুল হকের কলমে। তিস্তা তাই ভারত ও বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া এক অভিন্ন নদীপ্রবাহ। কিন্তু বাংলাদেশ কি পাচ্ছে এই নদীর প্রবাহে তার বৈধ অধিকারটুকু? আন্তর্জাতিক নদী আইনের আওতায় আমাদের প্রাপ্য কি আমরা পাচ্ছি?