রাজশাহীর সাংবাদিক হামলা ও প্রাসঙ্গিক কথা

www.ajkerpatrika.com মামুনুর রশীদ প্রকাশিত: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৪:১৮

সম্প্রতি একটি সংবাদ সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। রাজশাহীতে অফিস ঠিক সময়ে শুরু হয় কি না, কর্মচারী-কর্মকর্তারা আসেন কি না, এটা দেখতে দুজন সাংবাদিক গিয়ে সরাসরি সম্প্রচার শুরু করেন। তখন ওই দুই সাংবাদিককে কর্মচারী ও কর্মকর্তারা শারীরিকভাবে লাঞ্ছনা করেছেন। অফিস প্রশাসক বিলম্বে এসে প্রথমে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন। তিনি বেশিক্ষণ সময় নেননি। একজন গাড়ির ড্রাইভার ও একজন স্টোরকিপারকে পাঠিয়ে দেন। তাঁরা বাকি কাজটি করেন। একজন সরকারি কর্মকর্তার নির্দেশে ঘটনাটি ঘটেছে এবং তিনি সব সাংবাদিকের কাছে এ বার্তাটি পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছেন যে তাঁদের কাজকর্ম নিয়ে কোনো প্রশ্ন তুললে এ রকমই সমস্যা হবে।


রাজশাহীর অফিসটি হয়তো এত বড় নয়। কিন্তু যেখানে বড় অফিস, হাজার হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী, সেখান থেকে ওই সাংবাদিকেরা প্রাণ নিয়ে ফিরতে পারতেন না। আমাদের সরকারি কর্মকর্তাদের দৃষ্টিভঙ্গিগত কোনো পরিবর্তন গত একান্ন বছরেও হয়নি। তাঁরা এখনো সেই ব্রিটিশ-পাকিস্তানি শাসকদের মতোই মানুষের সঙ্গে আচরণ করতে অভ্যস্ত। জেলা প্রশাসক তো লাট সাহেবের কর্মকর্তা। কালেক্টরেটের রাজা। আর সচিবেরা তো ভাইসরয়ের কর্মকর্তা। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাঁদের ভূমিকা সেই পাকিস্তান আমলের দিনগুলোর মতোই ফিরে এসেছে।


আজকের পত্রিকা অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
রাজনীতিবিদদের ক্ষমতা নেই, এমপিদের কথা প্রশাসন শোনে না। সুযোগ বুঝে আমলারা তাঁদের বেতন দ্বিগুণ করে নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী হয়তো ভেবেছিলেন বেতন বাড়ালে দক্ষতা বাড়বে এবং সেই সঙ্গে দুর্নীতি কমবে। দক্ষতা বাড়ানো তো দূরের কথা, শিষ্টাচারবহির্ভূত দুর্নীতিও দ্বিগুণের বেশি হয়ে গেছে। গাড়ির চালক থেকে শুরু করে একেবারে উচ্চপর্যায়ে দুর্নীতির বাহার। আজকাল দুর্নীতির কোনো মামলা শত শত কোটির নিচে হয় না। সেই সঙ্গে অর্থ পাচার, কানাডা, আমেরিকায় কলোনি স্থাপন—এসবই দিন দিন বেড়েছে। গত বছরগুলোতে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড যেভাবে বেড়েছে, সেভাবে বেড়েছে দুর্নীতি।মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ ক্ষমতায় আসার পর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাস্তব অবস্থা দেখে যেকোনো প্রকল্পে ব্যয় বাড়িয়ে দিয়েছিলেন এবং সেই বাড়তি টাকাটা তাদের পকেটে গিয়েছে। এ রকম একটি প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন, তাতে কিছু কাজও হয়েছে। তবে দুর্নীতিকে চিহ্নিত করার কাজে বিষয়টি খুবই কাজে দিয়েছে। আমাদের সাবেক অর্থমন্ত্রী দুর্নীতিকে স্পিডমানি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। আর এবারের বাজেটে কালোটাকাকে সাদা করার এবং মানি লন্ডারিংয়ের বিষয়টিকে হালাল করার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও