কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

পরিবর্তিত বিশ্ব প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের তাৎপর্য

যুগান্তর ড. দেলোয়ার হোসেন প্রকাশিত: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১০:০৯

২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে এক নবদিগন্তের সূচনা ঘটিয়েছিলেন। সেসময়ে শেখ হাসিনা এবং মনমোহন সিংয়ের মধ্যে যে শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল, তা বঙ্গবন্ধুর শাসনামলের পর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়নের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছিল। এর আগে ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন প্রথমবার ক্ষমতায় আসেন, তখন গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তিসহ পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে একটি নতুন ধারা তৈরি হয়েছিল। সেই ধারা ২০০১ সালে ব্যাহত হয়েছিল এবং সম্পর্কের ধারা উলটোদিকে প্রবাহিত হয়েছিল। এ সময় দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে একধরনের আস্থার ঘাটতি ছিল।


২০১০ সালের শীর্ষ বৈঠকটির মাধ্যমে সেই অনাস্থার সমাপ্তি ঘটে এবং একবিংশ শতাব্দীর নতুন বাস্তবতায় বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের নতুন ভিত্তি রচনার রোডম্যাপ তৈরি হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেই রোডম্যাপ ধরেই বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক একটি বহুমাত্রিক রূপ লাভ করেছিল। একসময় যে সম্পর্ককে শুধু কিছু অর্থনৈতিক সূচক, পানিবণ্টন সম্পর্কিত ও কূটনৈতিক বিবেচনায় দেখা হতো, সেই সম্পর্ক অর্থনীতি ও কূটনীতির গণ্ডি ছাড়িয়ে নিরাপত্তা, জ্বালানি সহযোগিতা, কানেক্টিভিটির মাধ্যমে বহুমাত্রিক সম্পর্কে রূপ নিয়েছে। একদিকে যেমন এই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক যোগাযোগের ক্ষেত্রগুলোয় নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করছে, অন্যদিকে জ্বালানি সহযোগিতার ক্ষেত্রে নবদিগন্ত উন্মোচন করেছে। পাশাপাশি আমরা দেখি দুই দেশের মধ্যে পিপল টু পিপল কানেক্টিভিটি বহুমাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ভারতে গমনকারী বিভিন্ন দেশের মানুষের মধ্যে বাংলাদেশিরা সংখ্যায় দ্বিতীয়। দুই দেশের মধ্যে শিক্ষা, মেডিকেল, পর্যটন ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধির ফলে কানেক্টিভিটি বহুমাত্রিক পর্যায়ে পৌঁছেছে।


এরকম একটি বহুমাত্রিক প্রেক্ষাপটে যখন বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এগিয়ে যাচ্ছে, তখন খুবই তাৎপর্যপূর্ণ একটি ঘটনা ঘটে যায়। কিছু বিশ্লেষক বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে হাসিনা-কংগ্রেস সম্পর্ক হিসাবে অভিহিত করেন এবং যুক্তি দেন যে শুধু কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকলেই ভারতের সঙ্গে শেখ হাসিনা সরকারের সম্পর্ক ভালো থাকে। সেই দৃষ্টিভঙ্গি সম্পূর্ণরূপে বদলে গেছে এখন। আমরা দেখছি, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৪ সালে প্রথম ক্ষমতায় আসার পর থেকে দুই দেশের সম্পর্কের গতিপ্রকৃতি আরও বেশি অর্থবহ হয়েছে এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে। দুই দেশের সম্পর্ক আরও বহুমাত্রিক হয়েছে এবং নতুন নতুন ক্ষেত্রে সম্পর্ক বিকাশ লাভ করছে। সেই সূত্র ধরেই বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক অনেক দূর এগিয়েছে। ভারত বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার। ভারত থেকে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ আমদানি করছে। ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ অংশীদারত্বে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হয়েছে। ভারতের সঙ্গে আমাদের অর্থনৈতিক সম্পর্ক ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। যোগাযোগের ক্ষেত্রে অভাবনীয় উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। বিশেষভাবে প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক ইচ্ছায় বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সেই ১৯৬৫ সাল-পূর্ববর্তী যোগাযোগব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা হচ্ছে। আরও গুরুত্বপূর্ণ, দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক বোঝাপড়া বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে একটি শক্তিশালী ভিত্তি দিয়েছে। বিশেষত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির মধ্যে ব্যক্তিগত বোঝাপড়া দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও