কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

যৌন হয়রানি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ চাই

জাগো নিউজ ২৪ ড. মতিউর রহমান প্রকাশিত: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৯:৫৯

নারীর ক্ষমতায়ন, উন্নয়ন ও নগরায়নের কারণে সাম্প্রতিককালে নারীদের গণপরিবহন ব্যবহারের হার উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে নারীরা কর্মক্ষেত্রে, স্কুলে, কলেজে, শিশুদের স্কুলে পাঠাতে ও আনতে, অসুস্থ হলে হাসপাতালে যেতে ও বিভিন্ন কারণে অন্যত্র যাতায়াত করতে গণপরিবহন ব্যবহার করে। কিন্তু গণপরিবহনে নারীদের নিরাপত্তা প্রায় নেই বললেই চলে। গণপরিবহনে নারীদের প্রতি যৌন হয়রানি ও সহিংসতা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। গত জুনে প্রকাশিত বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির এক জরিপ অনুযায়ী দেশে মোট জনগোষ্ঠীর ৩৬ শতাংশ নারী কর্মক্ষেত্রে যাতায়াত করে। তাদের মধ্যে ৮০ শতাংশই গণপরিবহন ব্যবহার করে। ওই জরিপে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, শতকরা ৯৪ শতাংশ নারী যাত্রী কোনো না কোনোভাবে গণপরিবহনে হয়রানির শিকার হন।


গণপরিবহনে যৌন হয়রানির শিকার হননি এমন একজন নারীকেও খুঁজে পাওয়া কঠিন। প্রকৃত অর্থে, দেশের গণপরিবহনে চলাচলকারী কতজন নারী যৌন হয়রানি ও নিপীড়নের শিকার হয়েছেন তার সঠিক কোনো পরিসংখ্যান নেই। বিভিন্ন সময়ে যেসব প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় তা থেকে দেশের গণপরিবহনে নারীদের যৌন হয়রানির বিক্ষিপ্ত কিছু চিত্র পাওয়া যায়। গণপরিবহনে নারীদের শুধু যৌন হয়রানিই নয়; এমন ঘটনাও ঘটে যে গণপরিবহনে নারী যাত্রীকে ধর্ষণ ও ধর্ষণের পর হত্যা করে নির্জন স্থানে ফেলে যাওয়ার মতো সংবাদও আমরা জানি। সম্প্রতি প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, বিভিন্ন গণপরিবহন যেমন- বাস, লঞ্চ, ট্রেন, অন্যান্য যানবাহন এবং টার্মিনালসহ গণপরিবহনে ৩৬ শতাংশ নারী নিয়মিত যৌন হয়রানির শিকার হন।


এছাড়াও ৮৭ শতাংশ নারী তাদের জীবনে অন্তত একবার যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে। আর ৬৬ শতাংশ নারী কয়েকবার এবং ৭ শতাংশ নারী বারবার যৌন হয়রানিসহ নানা ধরনের হয়রানির শিকার হন। তবে হয়রানির শিকার ৩৬ শতাংশ নারী প্রতিবাদ করেছেন বলে অনলাইনে পরিচালিত ওই জরিপে উঠে এসেছে। ইউএনডিপি বাংলাদেশ, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এবং সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) যৌথ উদ্যোগে ২৪টি জেলার ৫,১৮৭ জন নারীর অংশগ্রহণে বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে যেমন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, টেক্সট মেসেজ এবং ই-মেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করে এই ফলাফল পাওয়া গেছে।


সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ৩৬ শতাংশ নারী হয়রানির প্রতিবাদ করেছেন এবং ৩৪ শতাংশ নারী কিছুই করেননি। ৭ শতাংশ নারী তাদের পরিবারকে বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করেছেন এবং মাত্র ৫ শতাংশ নারী এবিষয়ে তাদের প্রতিবেশীদের কাছ থেকে সাহায্য চেয়েছিলেন। হয়রানির শিকার মাত্র ১ শতাংশ নারী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা চেয়েছেন, ১ শতাংশ ৯৯৯ এ ফোন করেছেন এবং ১ শতাংশ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদ করেছেন ও সহযোগিতা চেয়েছেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও