সভ্যতার মাপকাঠি ও পোশাকের অধিকার

সমকাল দাউদ হায়দার প্রকাশিত: ৩০ আগস্ট ২০২২, ১১:৩১

শতাধিক বছর আগে 'হ য ব র ল' গল্পে সুকুমার রায় কী বলেছিলেন, পাঠক পড়ে নেবেন। এখন মনে পড়ছে, ১৯৮৭ সালে, সেপ্টেম্বরে জার্মানির সুপ্রিম কোর্ট একটি মামলার যে রায় দিয়েছিলেন, জনগণ প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েন। শেষাবধি রায় বাতিল। আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ। ফৌজদারি, হাইকোর্টকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা, চালান সব দেশেই আছে।


১৯৭৫ সালে ইন্দিরা গান্ধীর জরুরি অবস্থাকে (ইমার্জেন্সি) থোড়াই কেয়ার করে ভারতীয় রাজনীতিক ও স্বাধীনতা সংগ্রামী রাজনারায়ণ এক মামলায় কার্যত সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকেই চ্যালেঞ্জ জানান। আদালত অবমাননার রায়ও মানেন না। পরে তিনি জিতে যান, সর্বার্থে। এও এক ইতিহাস। জনতার শক্তিই সবকিছুর মূলে। যেমন আমরা ১৯৬৯ সালে গণআন্দোলনে 'জেলের তালা ভাঙবো শেখ মুজিবকে আনবো।' এনেছি। তিনি দিয়েছেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা। স্বাধীনতার স্থপতি।


যত দিন যাচ্ছে, বাংলাদেশ নিয়ে বিশ্বের নানা দেশের নজর। ভৌগোলিক কারণ তো আছেই। সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য। তেল, গ্যাসের খবর চাউর করে বঙ্গোপসাগরের একটি বিশেষ অঞ্চল কীভাবে কবজা করবে, পাঁয়তারা কষছে। প্রলোভন দেখাচ্ছে। ছলেবলে না হলে প্রচ্ছন্ন হুমকিও।
অন্যদিকে, গোটা দেশকে শরিয়তি আইনে আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধার জোর কদমে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে একটি মহল। আলামত ইতোমধ্যে স্পষ্ট। দেশের ভেতরেই সংঘবদ্ধ। সুযোগ-সুবিধে পেলেই ঝাঁপিয়ে পড়বে। বাংলাদেশ নামও থাকবে না। জাতীয় সংগীত উধাও। 'বাংলাস্তান' নিয়ে কোনো গীত। কিংবা 'বাংলাস্তান'-এর বদলে 'ইসলামস্তান'। যে রকম পাকিস্তান করেছে একটি অঞ্চলের বদলে ইসলামাবাদ।


বাংলাদেশে শরিয়তি আইন নেই ঠিকই, কিন্তু কমই-বা কী? রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। সংখ্যালঘুরা দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক। প্রকাশ্যে না-বললেও মূলত তৃতীয় শ্রেণির। সংখ্যালঘুরা কিছু বলতে পারবে না। ভয়ে। মাথা নত। বললে এ-অপবাদ, ও-অপবাদে নির্যাতন। সরকার মৌনী। কঠোর নয়। কঠোরতার হিম্মত নেই। ধর্মব্যবসায়ীদের তোয়াজ করতে হবে। তোষামোদ করতে হবে। যেমন দেখেছি। স্কুলের পাঠ্যসূচি বদল। হেফাজতে ইসলামের নানা দাবি মেনে নিয়েছে। টুঁ শব্দ করেনি।


এইসব নিয়ে কেন সোচ্চার হইনি? আন্দোলন করিনি? হেতু কি এই নয়- দেশের মানুষ কোনো অদৃশ্য দাপটে চুপ? না, চুপ আর থাকব না। থাকলে দোষী। আওয়ামী লীগকে কারা ভোট দেয়, কারা কখনোই দেয় না- প্রমাণিত। সরেজমিন তত্ত্বতালাশ করেছে একটি এনজিও। নাম বলছি না। অনুচিত। বললে বিপদ হয়তো। এনজিওর সহপরিচালক বার্লিনে এসেছিলেন। দেখা করেন। জানান, 'ধর্মীয় উগ্র পন্থা বাড়ছে। সরকারের কাছে রিপোর্টও পেশ করেছি।'


যেহেতু ফেস নেই, বুকও নেই; তাই ফেসবুক ব্যবহার করি না। বন্ধুদের খপ্পরে পড়ে মাঝেমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ার ভাইরাল দেখি। ধর্মের নামে অধর্মের কত কারবার দেখি। মসজিদের ইমাম মানুষ খুন করে আবার নামাজ পড়াতে দাঁড়িয়েছেন। মাদ্রাসায় শিশু শিক্ষার্থীদের ধর্ষণ করে মাদ্রাসারই শিক্ষক। মিডিয়ারই খবর। ইসলামের নামে ইসলাম রক্ষার্থে কী হচ্ছে তবে? প্রশ্ন তুললেই নাসারা, মুরতাদ? নাসারার তৈরি মোবাইল ব্যবহার করে হুজুর, মোল্লারা। তার বেলায়?

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও