নারীদের পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোমের লক্ষণ, কী করবেন?

যুগান্তর প্রকাশিত: ২৯ আগস্ট ২০২২, ১০:৩৭

পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম (পিসিওএস) প্রজননক্ষম মহিলাদের একটি হরমোনজনিত রোগ। ১৪-৪৫ বছর বয়সি মহিলাদের ৬-১৪ শতাংশ (গড়ে ১০ শতাংশ) এ সমস্যায় ভুগেন; পিসিওএস এ বয়সি মেয়েদের অন্যতম হরমোনজনিত রোগ। পিসিওএস-এ আক্রান্ত বেশিরভাগ মহিলাদের মধ্যে উচ্চমাপের অ্যান্ড্রোজেন অথবা পুরুষ হরমোনগুলোর উপস্থিতি থাকে। মেয়েদের দেহে অ্যান্ড্রোজেন হরমোন স্বাভাবিকের বেড়ে গেলে এর প্রভাবে ডিম্বাশয়ের আশপাশে ছোট ছোট সিস্ট তৈরি হয়। ফলে ডিম্বাশয় থেকে যে ডিম্বাণু বড় হয়ে বের হওয়ার পথে বাঁধা সৃষ্টি হয় এবং এভাবে একসময় ডিম্বাণু বের হওয়া বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে নিয়মিত ঋতুচক্র বাধাগ্রস্ত হয়। পিসিওএস প্রধানত কিশোরী ও নারীদের প্রজননক্ষম সময়ে হয়ে থাকে।


এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শাহজাদা সেলিম। 


উপসর্গ


অনিয়মিত মাসিক, অতিরিক্ত রক্তস্রাব, মুখে ও শরীরে অত্যধিক লোম (পুরুষালি), মুখে ও শরীরের অন্যান্য অংশে ব্রণ। আরও কিছু শারীরিক সমস্যা এর সঙ্গে থাকতে পারে- তলপেটে ব্যথা, মকমলের মতো কালো ত্বক (ঘাড়, বগল ইত্যাদি জায়গায়), বন্ধ্যত্ব।


এ রোগীদের টাইপ-২ ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। এদের অনেকেই দৈহিক স্থূলতায় আক্রান্ত হয়, নাকডাকা ও ঘুমের সময় হঠাৎ করে শ্বাস বন্ধ হওয়া, হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়া, মানসিক ভারসাম্যহীনতা ও জরায়ু ক্যানসারের ঝুঁকি বৃদ্ধি পেতে পারে।


লক্ষণ কী কী-


* অনিয়মিত মাসিক : বেশিরভাগ মেয়েদের ৪০ বা ৪৫ বা ৫০ দিন বা কারও কারও ক্ষেত্রে আরও বেশি দিন পর পর ঋতুস্রাব হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে অল্প মাত্রায় ঋতুস্রাব হতে পারে, কারও কারও ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ঋতুস্রাব হয়। মাসের পর মাস ঋতুস্রাব বন্ধ থাকাও অস্বাভাবিক নয়। বয়ঃসন্ধিকালের শুরুতেই এ সমস্যা শুরু হতে পারে, প্রজননক্ষম সময়ে অন্য যে কোনো সময়েও এ সমস্যা শুরু হতে পারে।


* বন্ধ্যাত্ব : যতজন নারী সন্তান নিতে ব্যর্থ হচ্ছে, তাদের একটা বড় অংশই পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোমের কারণে হয়। আর এ বন্ধ্যত্বের কারণ হলো-ঋতুচক্রের অনেকগুলোতেই ডিম্বাণুর অনুপস্থিতি। পুরুষালি হরমোনের অধিক মাত্রায় উপস্থিতিও এর বহিঃপ্রকাশ। এর ফলস্বরূপ নারী দেহে পুরুষদের মতো লোম দেখা দিতে পারে (হার্সোটিজম), মুখে বা শরীরের অন্যান্য জায়গায় ব্রণ হওয়া, পুরুষালি টাক পড়ে ইত্যাদি। প্রতি চারজনের মধ্যে পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোমের নারীর তিনজনের দেহে এ লক্ষণগুলো থাকে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও