ব্যাংক খাত বৈশ্বিক প্রতিকূল অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবেলা করছে

বণিক বার্তা ড. শাহ্ মো. আহসান হাবীব প্রকাশিত: ২৭ আগস্ট ২০২২, ১০:৩২

মূল্যস্ফীতি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্ব অর্থনীতি এবং আর্থিক খাতকে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রাবাজারের অস্থিরতা এক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ করেছে বিশ্বব্যাপী। উন্নত ও উন্নয়নশীল উভয় বিশ্বে এ প্রতিকূল পরিস্থিতির প্রভাব স্পষ্ট। নীতিনির্ধারকদের জন্য এমন জটিল অবস্থা মোকাবেলা সহজ নয় যখন বিশ্বব্যাপী নিম্ন আয়ের জনপদ এবং ক্ষুদ্র উদ্যোগ এখনো করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহতা কাটিয়ে ওঠার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। আর্থিক ও ব্যাংক খাত এ অবস্থায় নতুন নতুন সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে। চলমান পরিস্থিতি কভিড-১৯ সংক্রান্ত দুর্যোগ থেকে উত্তরণে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং ব্যাংক খাতের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনাকে নতুন চ্যালেঞ্জ ও পরীক্ষার মুখোমুখি করেছে। আর্থিক খাত প্রভাবিত হচ্ছে বিভিন্ন দিক থেকে।


বৈশ্বিক দুর্যোগ এবং কভিড-১৯-এর কারণে সৃষ্ট বিপর্যয়ের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ নতুন ও জটিল পরিস্থিতির মুখে পরেছে। সুশাসন ব্যবস্থা ঠিক রাখার জন্য কিছু মৌলিক বিষয় আগের মতো রয়ে গেলেও অনেক ক্ষেত্রে সুশাসন সম্পর্কিত বেশকিছু পদক্ষেপ সংশোধন করতে হচ্ছে। অর্থনীতির এই নাজুক পরিস্থিতিতে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ব্যাপক অংশগ্রহণ এবং শীর্ষ নেতৃত্বের দায়িত্বশীল আচরণ প্রকৃতই একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। নতুন এ পরিস্থিতিতে সব অংশীদারি পক্ষের স্বার্থ সংরক্ষণ করা অত্যন্ত জরুরি। প্রতিনিয়ত বিভিন্ন পরিবর্তনের কারণে পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে জটিলতা তৈরি হচ্ছে। সব অংশীদারি পক্ষের সর্বোচ্চ স্বার্থ সংরক্ষণের যে জনপ্রিয় ধারা চালু রয়েছে বছরের পর বছর, তা নিশ্চিত করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে শীর্ষ নেতৃত্বকে। নতুন এ পরিস্থিতিতে সমাজ ও পরিবেশের প্রতি দায়বদ্ধতার ক্ষেত্রে আরো বেশি জবাবদিহি এবং স্বচ্ছতাও অত্যন্ত জরুরি। তবে এর ফলে যেন পরিচালনা পর্ষদ এবং শীর্ষ ব্যবস্থাপনার মধ্যে যথাযথ দূরত্ব রক্ষা করার মৌলিক নীতি ভঙ্গ হয়ে না যায় তা লক্ষ রাখতে হবে। বিপর্যয় কাটিয়ে উঠে ব্যাংক খাতে স্থিতিশীল অবস্থায় আনতে পরিচালনা পর্ষদ এবং শীর্ষ ব্যবস্থাপনার সংঘবদ্ধ কার্যক্রম চলমান রাখা অত্যন্ত জরুরি। সঙ্গে প্রয়োজন বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে যথেষ্ট বিনিয়োগ। কোনো সন্দেহ নেই যে ডিজিটাল প্লাটফর্ম নিশ্চিত করা ও তথ্যপ্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার একটি প্রয়োজনীয় এবং ব্যয়বহুল প্রক্রিয়া। এ রকম সংকটের সময়ে এ খাতে প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ সহজ নয়। এক্ষেত্রে পরিচালনা পর্ষদের সহায়তা দরকার। বিনিয়োগ করতে হবে নতুন পরিস্থিতিতে কার্যকর ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার জন্য দক্ষ, যোগ্য ও মেধাবী জনবল তৈরিতেও। এ অবস্থায় সম্ভাব্য ঝুঁকি এবং আর্থিক সামর্থ্যের ক্ষেত্রে নীতিনির্ধারক এবং অংশীদারি পক্ষগুলোর কাছে স্বচ্ছ থাকা চাই।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও